বিধান নস্কর, দমদম: সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন (Special session of Parliament)। চলবে ২২ তারিখ পর্যন্ত। এই অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, বিশেষ অধিবেশন ছোট হলেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একাধিক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এই বিশেষ অধিবেশনে। আর সেই ঐতিহাসিক অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার দুপুর দিল্লি উড়ে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর যাওয়ার আগে ফের বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে সম মনোভাবাপন্ন দলকে আহ্বান জানিয়ে গেলেন তিনি।
এদিন দুপুর ১টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে (Dumdum Airport) পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঢোকার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ”সিপিএমের কী অবস্থান, তা সিপিএমই (CPM) স্পষ্ট করে বলতে পারবে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা প্রত্যেকটা সম মনোভাবাপন্ন দলকে স্বাগত জানিয়েছি। লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করুন। সিপিএম বা অন্য রাজনৈতিক দল, কে কী করবে, সেটা তাদের ব্যাপার।”
[আরও পড়ুন: ‘ওদের মুখে কষিয়ে থাপ্পড়’, এশিয়া কাপে ভারতের ‘ষড়যন্ত্র’ করার কুৎসায় চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ গাভাসকর]
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী INDIA জোটের অন্যতম বড় দল তৃণমূল এবং তার প্রতিনিধি হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য। গত ১৩ তারিখ সমন্বয় কমিটির বৈঠকে থাকতে পারেননি অভিষেক। ওইদিনই তাঁকে ইডি তলব করেছিলেন। সাড়ে ৮ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ফলে দিল্লি আর যাওয়া হয়নি তাঁর। এদিকে, INDIA জোটে থাকলেও তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব রাখতে সমন্বয় কমিটিতে প্রতিনিধি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত পার্টি সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটির। বাংলার স্বার্থে জোট থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে এবং কোনওভাবেই তৃণমূলের (TMC) ‘ছোঁয়া’ পার্টির গায়ে লাগতে দেওয়া যাবে না – বঙ্গ কমরেডকুলের শীর্ষ নেতাদের এহেন দাবিই মেনে নিয়েছে সিপিএম। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ দিল্লি যাওয়ার আগে অভিষেকের এহেন মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে।