সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপেক্ষা ছিল। রাজ্যের ২ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে ফের কবে পথে নেমে তৃণমূল (TMC) কর্মীদের চাঙ্গা করবেন তিনি। তার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে বালিগঞ্জ উপনির্বাচনের প্রচারে মল্লিকবাজারে বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo)হয়ে ভোট চাইতে নেমে ভোকাল টনিক দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়িয়ে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ”রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বলছে বিজেপি? তেমন হলে ২৫০ পাবে তৃণমূল, আগেরবারের চেয়ে আরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতব আমরা।”
চৈত্রের দুপুরে গনগনে রোদ মাথায় নিয়েই বৃহস্পতিবার বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে মল্লিকবাজার পর্যন্ত অভিষেকের (Abhishek Banerjee) রোড শো’য় জনতার ঢল। সঙ্গে ছিলেন প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। ছিলেন দলের একাধিক শীর্ষ নেতা। বাবুলের তারকা ইমেজ ছাড়িয়ে কিন্তু সকলের নজরে ছিলেন একমাত্র অভিষেক। রোড শো শেষে বক্তব্য শুরু করেন তিনি। গোড়া থেকেই বিজেপি বিরোধিতায় আক্রমণের সুর চড়ান তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বলেন, ”গত বছর এই সময়ের কথা মনে আছে? বিজেপি নেতারা বলেছিলেন – আব কি বার ২০০ পার। আমি বলেছিলাম, দরজা খুলে দিলে পার্টি উঠে যাবে। এবারও বলছি, ৬৯ থেকে ৭০ হাজার ভোটে বালিগঞ্জ জিতবে অভিষেক। আর আসানসোলে ২ লক্ষ ভোটে জিতবে তৃণমূল।” অভিষেকের আরও দাবি, ”মোদি বাবুরা আর আসছেন না। আবার আসবেন চব্বিশে। আবার প্রধানমন্ত্রী হতে হবে তো।”
[আরও পড়ুন: ‘বাবুলকে দেখে নয়, ভোট দিন মমতাকে দেখে’, বালিগঞ্জের নির্বাচনী প্রচারে বললেন অভিষেক]
সম্প্রতি বেশ কয়েকবার অভিষেক-সহ তৃণমূল নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে ইডি, সিবিআই। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যাঁরা আক্রমণ করছে, তারা সব তলায় তলায় এক। আমায় সিবিআই ডাকছে। আমি গিয়েছি, তদন্তের সম্মুখীন হয়েছি। কেউ যদি ভাবে, ৪ টে নোটিস পাঠিয়ে আমায় আটকাবে, তাহলে ভুল। আমরা ঘাসফুলের দল। যত কাটবে, তত বাড়বে। বুক চিতিয়ে লড়াই করে বিজেপিকে দেশ থেকে উৎখাত করে ছাড়ব।”
[আরও পড়ুন: পান থেকে চুন খসলেই আদালতে, ৪১ বছরে ৬০টি মামলা স্বামী-স্ত্রীর, হতবাক প্রধান বিচারপতি]
দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়েও কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন অভিষেক। শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তাঁর প্রশ্ন, ”দেশের সরকারে ঋণ কত? বাংলায় বলছে ৪ লক্ষ কোটি। দেশের কত? ১ লক্ষ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। ১৯৪৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৫৪ হাজার কোটি টাকা। আর ৭ বছরে ঋণের পরিমাণ ১ লক্ষ কোটি টাকা বাড়িয়েছে মোদি সরকার।”