সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহান্তেই কলকাতা শহরে ফের নির্বাচনী আবহ। কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ডে ভোট (Kolkata Municipal Election)। শেষবেলার প্রচারে নেমেছেন হেভিওয়েটরা। উত্তর কলকাতার (North Kolkata) প্রার্থীদের প্রচারে বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা বউবাজার থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত দীর্ঘ মিছিলে নামলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মিছিল শেষে বউবাজার থেকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন তিনি। প্রার্থীদের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসের পাশাপাশি নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণের লক্ষ্যে তাঁর পরামর্শ, ”কেউ ধমকালে-চমকালে সোজা বাইরের দরজা দেখিয়ে দিন। তারপর দেখা যাবে। মনে রাখবেন, এটা নতুন তৃণমূল। গোটা দেশ এই দলের দিকেই তাকিয়ে।”
বৃহস্পতিবার কার্যত মেগা প্রচার সূচি তৃণমূলের। একদিকে, কলকাতার তিনপ্রান্তে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটি জনসভা। অন্যদিকে, উত্তর কলকাতায় অভিষেকের দীর্ঘ মিছিল। হুডখোলা গাড়িতে অভিষেকের সঙ্গে এদিন মিছিলে শামিল হয়েছিলেন উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও পর্যবেক্ষক তাপস রায়। বিকেল থেকে শুরু করে সন্ধে পর্যন্ত শিয়ালদহ থেকে বউবাজার পর্যন্ত অভিষেকের দীর্ঘ মিছিলে প্রচুর জনাসমাগম চোখে পড়ল। এরপর শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ”আজকের এই মিছিলে জনসমাগম রেকর্ড ভেঙেছে।” এরপরই তিনি উত্তর কলকাতার সবকটি ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীদের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসের কথা বলেন।
[আরও পড়ুন: ‘যাঁরা বলতেন বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না, তাঁদের মুখে চুনকালি’, খোঁচা মমতার]
প্রার্থীদের ভোকাল টনিক দিতে গিয়ে অভিষেকের বক্তব্যে উঠে আসে তৃণমূলের প্রাসঙ্গিকতা, দায়িত্বের কথা। তাঁর কথায়, ”তৃণমূলই একমাত্র বিকল্প। কোনও বিরোধী দল নেই। তাদের কারও কোনও কর্মসূচিই নেই। উত্তর কলকাতার প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরাই জিতব। সকলে মনে রাখবেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতাকে উন্নয়নের যে পথ দেখিয়েছেন, যেভাবে নাগরিক পরিষেবা উন্নতি করেছেন, সেই পথেই সকলকে চলতে হবে। ভোটে জিতে কাজের দিকে নজর দিতে হবে।”
[আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘গোটা দেশের অনুপ্রেরণা কলকাতাই, নীল-সাদা হচ্ছে দিল্লি, মুম্বইও’, পুরভোটের প্রচারে বললেন মমতা]
কলকাতা পুরভোটের প্রচারে তৃণমূলের সংগঠন বৃদ্ধি নিয়েও বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ”গোয়ায় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভোট। হয় আমরা জিতব নয়ত প্রধান বিরোধী দল হব। ত্রিপুরায় সংগঠন গড়ে যদি ৩ মাসে ২৪ শতাংশ ভোট পাই, তাহলে গোয়ায় আরও ভাল ফল করব।” এ থেকেই স্পষ্ট, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আসলে বহু দূর।