বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আর জি করের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপরাধের বিচার চেয়ে পথে নেমেছে আমজনতা। অথচ এই আন্দোলনের মাঝেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে গিয়েছে একের পর এক নারকীয় যৌন অত্যাচারের ঘটনা। এরকমই ২৪টি যৌন নির্যাতনের খবরের কোলাজ করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে লিখলেন, 'গোটা দেশ ধর্ষণের বিচার চেয়ে আন্দোলন করছে। অথচ, এই কোলাজটিই বলে দিচ্ছে এই মুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি আসলে কীরকম?' একইসঙ্গে ধর্ষণ বিরোধী কড়া আইনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণের ঘটনার পরই সাতদিনের মধ্যে দোষীদের খুঁজে বের করে এনকাউন্টারের নিদান দিয়েছিলেন। ধর্ষণবিরোধী কড়া আইন আনার দাবি জানিয়েছিলেন। যাতে দোষীদের খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তি দেওয়া হয়। এর পর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন একই দাবি। এদিনও একই দাবি জানালেন অভিষেক।
[আরও পড়ুন: ভাঙল ব্যারিকেড, পালটা জলকামান, নবান্ন অভিযান ঘিরে পুলিশ-মিছিলকারীদের খণ্ডযুদ্ধ]
৯ আগস্ট সামনে এসেছে আর জি করের মর্মান্তিক ঘটনাটি। এর পর কেটে গিয়েছে ১৯ দিন। আন্দোলন চললেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ নিয়ে অভিষেক লিখেছেন, 'আর জি করের ঘটনার পর থেকে ১৫ দিনে মহিলাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং শারীরিক অত্যাচারের একাধিক ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। অথচ ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন চলছে।' এর পরই ধর্ষণবিরোধী কড়া আইন আনার দাবি জানিয়েছেন। লেখেন, 'দেশের এই পরিস্থিতির উত্তর একটাই। ধর্ষণবিরোধী কঠোর আইন আনতে হবে। যা ৫০ দিনের মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্তের শুনানি এবং দোষী সাব্যস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।' তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, 'দেশে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত করার হার মাত্র ২৬ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০টির মধ্যে ৭৪ জন দোষী ধর্ষণের শাস্তিই পান না।' পরিশেষে অভিষেকের দাবি,'ধর্ষণের অপরাধে সুবিচার পাইয়ে দিতে হলে, অবিলম্বে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমাদের ধর্ষণবিরোধী কঠোর আইনের দাবি জানাতে হবে। যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুবিচার পাইয়ে দেবে। এছাড়া অন্য কোনও চেষ্টা সারবত্তাহীন প্রচেষ্টা হবে। আদতে কোনও কাজ হবে না।'