ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ভোটের আগে সন্দেশখালি কাণ্ডে নয়া মোড়। ভাইরাল হয়েছে 'স্টিং' ভিডিও। সেই ভিডিও-কে হাতিয়ার করে শনিবার তৃণমূল ভবন থেকে তোপ দাগলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর তোপ, "সন্দেশখালি বিজেপির পরিকল্পিত চক্রান্ত। বাংলাকে ছোট করার নির্লজ্জ চক্রান্ত।"
নির্বাচনী আবহে ফের শিরোনামে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সন্দেশখালি। চলতি বছরের শুরু থেকেই উত্তপ্ত নদীর পাড়ের এই এলাকা। গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। সেই সময় শাহজাহানের অনুগামীরা তদন্তকারীদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জল গড়ায় অনেক দূর। অশান্তির আবহে অভিযোগ উঠে আসে, সন্দেশখালিতে একাধিক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। জমি কেড়েছে এলাকার বেতাজ বাদশা-রা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গুচ্ছ-গুচ্ছ মামলা হয়েছে। শুরু হয়েছে সিবিআই তদন্ত। জাতীয় মহিলা কমিশনও পদক্ষেপ করেছে। এবার সেই কাণ্ড নিয়ে প্রকাশ্যে এল 'স্টিং' ভিডিও।
[আরও পড়ুন: ন’ঘণ্টা অপেক্ষার পরও ট্রেনের দেখা নাই, কলকাতা-হাওড়া স্টেশনে বিক্ষোভ]
যেখানে স্থানীয় এক বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে, সন্দেশখালির 'ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো'। তাঁর দাবি, পুরো বিষয়টি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরিকল্পনামাফিক ঘটানো হয়েছে। 'খালি হাতে নয়', টাকা-মদের বিনিময়ে এই সমস্ত কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলেও ভিডিও-তে দাবি করেছেন তিনি। অভিষেকের দাবি, "আজ বিজেপি নেতা বলছেন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। ফেক অভিযোগ করেছেন টাকা দিয়ে। ৬ মাস আগের ধর্ষণের কথা বলে অভিযোগ। যাতে মেডিক্যাল করতে না হয়। জবারানী যিনি মহিলা কমিশনে অভিযোগ করেছেন, তিনি জানতেনই না কী লেখা আছে, সেখানে সই করে দেন। নিজে বলছে একথা।" এর পরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কটাক্ষ, "এরা যে এত নিচু তলার বেহায়া নির্লজ্জ হতে পারে আমার জন্য ছিল না।"
বিজেপিকে অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, "গঙ্গাধর কয়ালকে হিম্মত থাকলে সাসপেন্ড করুন।" লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোটবাক্সে এর প্রভাব পড়বে বলেও দাবি করেছেন তৃণমূলের 'সেনাপতি'। বলছেন, "বাংলায় আপনারা (বিজেপি) বলছিলেন ৩০টা আসন পাবেন। বাংলাকে ছোট করে আপনারা ৩০টা আসন পাবেন? যে পরিণতি আপনাদের একুশ সালে হয়েছিল, তার থেকেও খারাপ পরিণতি হবে।" পরিশেষে তাঁর সংযোজন, "বাংলাকে ছোট করতে শুধু বিজেপি নয়, বিচারব্যবস্থার একাংশও দায়ী।"