নব্যেন্দু হাজরা: দাম বেড়েছে আটা-ময়দা-চিনির। বেড়েছে কর্মচারীদের বেতনও। আর তারই প্রভাব পড়তে পারে আম-আদমির ব্রেকফাস্ট বা টিফিনে। শুধু তাই নয়, প্রভাব পড়তে পারে পিৎজা, বার্গারের দামেও। চলতি মাসেই বাড়তে পারে কেক-পাউরুটির দাম। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও দামবৃদ্ধি নিয়ে বেকারি মালিকরা জেলায় জেলায় একাধিক বৈঠক করেছেন। বেশ কয়েকটি সংস্থা তো নতুন দামে প্রিন্ট করাও শুরু করেছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও বেকারি সংগঠনের তরফে নেওয়া হয়নি। আগামী সপ্তাহেই তা নেওয়া হতে পারে।
সেক্ষেত্রে ৪০০ গ্রাম পাউরুটির দাম দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। এখন এক পাউন্ড পাউরুটির দাম ৩২ টাকা। এখন সেই দাম কত হয়, সেটাই দেখার। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে শেষবার পাউরুটির দাম বেড়েছিল। তখন এক পাউন্ডের দাম ২৮ টাকা থেকে ৩২ টাকা হয়েছিল। দুবছরের মাথাতে ফের দামবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। শুধুমাত্র কলকাতায় একদিনে ২ লক্ষ ৩০ হাজার পাউরুটি সরবরাহ করা হয়। বেকারি মালিকরা জানাচ্ছেন, পাউরুটি তৈরির কাঁচামাল ময়দা, চিনি, ভোজ্য তেল থেকে জ্বালানি ইত্যাদির খরচ একলাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। কর্মচারীদের মাইনে বেড়ে গিয়েছে। যে কারণে এই দাম বাড়ানোর কথা ভাবছেন তাঁরা। এর ফলে পাউরুটিজাত সমস্ত দ্রব্যের দামই বাড়তে পারে। বড়দিনের আগে পিৎজা থেকে স্যান্ডউইচ –সবই হয়ে উঠতে পারে দামি।
অক্টোবর মাসে প্যাকেটজাত এক কেজি আটার দাম ছিল ৪৫ টাকা। সেই দামই নভেম্বরে ৫২ হয়ে গিয়েছে। প্যাকেটছাড়া আটার দাম ছিল ৩৫, তা এখন ৪০ টাকা। তেমনই প্যাকেটজাত ময়দার দাম যেখানে ছিল ৪৮ টাকা, তাই এখন ৫৫ টাকা। আর প্যাকেটছাড়া ময়দা এক মাস আগেও যেখানে ৩৫ টাকা ছিল, তাই এখন ৪০ টাকা প্রতি কেজি। স্বাভাবিক নিয়মেই তাই কেক-পাউরুটির দাম বাড়ানোর দাবি করছেন বেকারি মালিকরা।
ওয়েস্টবেঙ্গল বেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, "আসলে ময়দা থেকে চিনি, কর্মীদের মজুরি সব কিছুর দাম বেড়ে গিয়েছে। ফলে দাম বাড়ানো নিয়ে বেকারি মালিকদের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে কত বাড়বে সেবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।"