ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ফের মেঘালয় সফরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আগামী ২৪ জানুয়ারি শিলংয়ে জনসভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ভোট ঘোষণার পর শিলং সফরে গিয়ে কী বার্তা দেন তিনি, সেদিকেই নজর সকলের।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দুর্দান্ত ফলাফল করে তৃতীয়বার এ রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের বাইরে সংগঠন বিস্তারে বাড়তি নজর দিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষত তাদের নজরে উত্তর-পূর্বের ছোট রাজ্যগুলি। ত্রিপুরায় (Tripura)আগেই লড়াই শুরু করে দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল, যার মূল সেনাপতি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিয়ম করে ত্রিপুরা গিয়ে সংগঠনের কাজ গুছিয়ে আসেন, দেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ। মেঘালয়েও সংগঠনকে আরও গোছাতে তৎপর তৃণমূল। উল্লেখ্য, গত বুধবারই ত্রিপুরা, মেঘালয়ের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় নির্বাচন। নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে ভোট হবে একই দিনে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি। ৩ রাজ্যের ভোটেরই ফলাফল ঘোষিত হবে আগামী ২ মার্চ।
[আরও পড়ুন: চিনে কোথায় করোনা? সবাই ভাল আছে, দাবি কলকাতার চিনা দূতাবাসের]
এই তিন রাজ্যেই কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি রয়েছে শাসকের আসনে। ত্রিপুরায় এই মুহূর্তে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার চলছে। ডাঃ মানিক সাহার (Manik Saha) সরকারের মূল চ্যালেঞ্জার সেখানে হতে চলেছে আদিবাসীদের দল তিপ্রা মোথা। বাম এবং কংগ্রেসের জোটও বেশ কঠিন লড়াইয়ে ফেলতে চলেছে বিজেপিকে। মেঘালয়ে এখন এনপিপির সরকার। সেখানে সামান্য ২ আসন নিয়ে সরকারের শরিক বিজেপি। সেরাজ্যে বিজেপি এখনও প্রান্তিক দল। মূল লড়াই এনপিপি (NPP), স্থানীয় একাধিক দল এবং তৃণমূলের। লড়াইয়ে আছে কংগ্রেসও। আর নাগাল্যান্ডে মূল লড়াই স্থানীয় দলগুলির মধ্যেই। ঘটনাচক্রে সেরাজ্যে এই মুহূর্তে বিরোধী দল বলে কিছু নেই।
ইতিমধ্যেই তৃণমূল মেঘালয় এবং ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পরেই দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সংগঠন বাড়ানোর কাজ চালিয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় ইতিমধ্যে স্থানীয় নির্বাচনগুলিতে অংশ নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে, মেঘালয়ে কংগ্রেসের একাধিক বিধায়ক তৃণমূলে যোগদানের ফলে সেখানেও বিরোধী দলের তকমা পেয়েছে বাংলার শাসকদল। তৃণমূলের কাছে সুযোগ থাকছে এই দুই রাজ্যের নির্বাচনে ভাল ফল করে উত্তর-পূর্ব ভারতে বিজেপির বিকল্প হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার।