অর্ণব আইচ: সাতসকালে দুর্ঘটনা দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে। দাঁড়িয়ে থাকা একটি কন্টেনারকে সজোরে ধাক্কা মারল একটি গাড়ি। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান গাড়ির চালক। আহত হয়েছেন গাড়ির আরও চারজন আরোহী। এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁদের।
[উল্টোডাঙায় পোকার কামড়ে শিশুর মৃত্যু, শহরে স্ক্রাব টাইফাসের আতঙ্ক]
হাওড়া কিংবা হুগলি তো বটেই, বর্ধমান, দুর্গাপুর, এমনকী, খড়গপুর, মেচেদা থেকেও দ্বিতীয় হুগলি সেতু পেরিয়েই কলকাতায় যাতায়াত করেন বহু মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই দিনরাত এই সেতুতে গাড়ি চলাচলেরও বিরাম নেই। পুলিশ জানিয়েছে রবিবার খুব ভোরে হাওড়া দিক থেকে কলকাতার দিকে আসছিল একটি গাড়ি। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার পরই ঘটে দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কন্টেনারকে সজোরে ধাক্কা মারে গাড়িটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই গাড়িটির গতি এতটাই বেশি ছিল যে, দুর্ঘটনার পর সেটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হেস্টিংস থানার পুলিশ ও দমকল। ঘটনাস্থলেই মারা যান গাড়ির চালক। বাকি চারজনকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
কিন্তু কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল? প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি ওড়িশার। রাতভর গাড়ি চালানোর পর, ভোরের দিকে সম্ভবত চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তাই হুগলি সেতুতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে কন্টেনারে ধাক্কা মারে গাড়িটি। মৃত ও আহতদের বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। দিন কয়েক আগেই দ্বিতীয় হুগলি সেতু কাছেই কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। ভোরবেলায় গ্যাস ট্যাঙ্কারের সঙ্গে ট্রেলারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল। দুর্ঘটনার পর আগুন লেগে গিয়েছিল দুটি গাড়িতেই। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ২ জন।
[ ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত, রাতের ট্রেনে ৩ ডাকাতকে একাই রুখে দিলেন ‘বীরাঙ্গনা’ ]