shono
Advertisement

Breaking News

WHO’র মানচিত্রে পাকিস্তান-চিনের অন্তর্ভুক্ত জম্মু-কাশ্মীর! মোদিকে চিঠি তৃণমূল সাংসদের

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত মানচিত্র ঘিরে উসকে উঠল নয়া বিতর্ক।
Posted: 08:45 PM Jan 30, 2022Updated: 08:59 PM Jan 30, 2022

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ফের মানচিত্র বিভ্রাট। ২৬ জানুয়ারি উপলক্ষে বিএসএফ-এর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে নাম বদলে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের। বাংলাকে দেখানো হয়েছিল ‘উত্তরবঙ্গ’ হিসেবে। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে যায়। আর এবার আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের মানচিত্র নিয়ে মুখ পুড়ল। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রকাশিত বিশ্ব মানচিত্রে দেখা গেল, জম্মু-কাশ্মীরকে পাকিস্তান ও চিনের অন্তর্ভুক্ত! আর তা নিয়ে শুরু হল নয়া বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন (Santanu Sen)। এই মর্মে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠিয়েছেন।

Advertisement

বিশ্বজুড়ে কোভিডের (COVID-19)প্রভাব কেমন, কোথাকার করোনা চিত্র কেমন – সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানোর জন্য একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে WHO। সেই মানচিত্রেই বিভ্রাট। ঘন নীল ভারতের শুধুমাত্র জম্মু-কাশ্মীর অংশটির রং সম্পূর্ণ আলাদা। তারও মধ্যে আরেকটি ছোট অংশকে চিহ্নিত করা হয়েছে অন্য নীল এবং ধুসরের দাগ দিয়ে। কী কারণে এক দেশের অবিচ্ছদ্য অংশকে এতরকমভাবে দেখানো হল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মানচিত্রে? এ প্রশ্নের উত্তর নেই।

এখানেই শেষ নয়। তদুপরি ওই মানচিত্রে জম্মু-কাশ্মীর বলে চিহ্নিত এলাকার করোনা পরিস্থিতি জানার জন্য তার উপর ক্লিক করলে যে সব তথ্য আসছে, তা পুরোপুরি পাকিস্তান ও চিনের তথ্য। অর্থাৎ WHO’র মানচিত্র অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীর অংশটি পাকিস্তান ও চিনের অন্তর্ভুক্ত। তাই করোনা পরিসংখ্যানও সেইভাবেই বিচার করছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। আন্তর্জাতিক সংস্থার তরফে প্রকাশিত এই ভুল মানচিত্রটি চোখে পড়ে তৃণমূলের (TMC)রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের। তিনি প্রথমে টুইট করা তা সকলের সামনে আনেন। এরপর কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণে প্রধামন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। একই চিঠি পাঠানো হয়েছে বিদেশমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে।

 

এইই প্রথম নয়। এর আগে টুইটারেও ভারতের মানচিত্র নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। গত নভেম্বরে টুইটারের মানচিত্রে লাদাখের বেশ কিছুটা অংশ এবং লে শহরকে চিনের মধ্যে দেখানো হয়েছিল।  টুইটারের এই ভুল চোখে পড়তেই জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইটকে কড়া ভাষায় সতর্ক করে ভুল শোধরানোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। টুইটারের সিইও জ্যাক ডরসিকে ইমেল করে এ ব্যাপারে সতর্ক করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সচিব। পরে টুইটারও ভুল বুঝে তা শুধরে নেয়। এন WHO কোন পথে হাঁটে, সেটাই দেখার। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement