সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: উস্তির ছাত্রাবাসে নাবালকের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। গ্রেপ্তার নির্যাতিতের এক সহপাঠী। একই ঘরে তারা থাকত বলে খবর। মঙ্গলবার ধৃতকে তোলা হল আদালতে।
উস্তির মালঞ্চ মিশন উচ্চমাধ্যমিক আবাসিক স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে নির্যাতিত বছর ১৪ ওই মেধাবী কিশোর। স্কুলের ছাত্রাবাসে থেকেই পড়াশোনা করত সে। হস্টেলের একটি ঘরেই একসঙ্গে ২০ জন ছাত্র থাকত। গত ৩০ মার্চ রাত একটা নাগাদ ছাত্রটির চিৎকারে রুম ইনচার্জ ও কয়েকজন সহ-শিক্ষক ঘরে ছুটে গিয়ে দেখেন ওই ছাত্রের নাক, কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। এক চোখে জমাট বেঁধে রয়েছে কালো রক্ত। গোঙানির শব্দ বেরোচ্ছে মুখ থেকে। গলায় রয়েছে কালশিটে দাগ। সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষকরা তাকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রটির পুরুষাঙ্গেও ছিল গভীর আঘাতের চিহ্ন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ছাত্রটিকে নিয়ে আসা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় SSKM হাসপাতালে। সেখানেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ওই ছাত্র।
[আরও পড়ুন:ঝালদায় পুরবোর্ড গঠনে তুমুল অশান্তি, স্বামী হারানোর বেদনা নিয়ে কাউন্সিলর পদে শপথ তপন কান্দুর স্ত্রীর ]
ঘটনার দিনই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ওই ছাত্রাবাসের সমস্ত ছাত্র এবং রুম ইনচার্জকে দফায় দফায় টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার সেখানকার চারজন ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা। টানা জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অভিযুক্ত বছর ১৪-এর ওই ছাত্র তার অপরাধ স্বীকার করে নেয় বলে দাবি পুলিশের। অভিযুক্ত ছাত্রটি উস্তির বাসিন্দা। হস্টেলে নির্যাতিত ছাত্রের সঙ্গে একই ঘরে থাকত সে। মঙ্গলবার স্কুলে গিয়েছিলেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরাও।
এ বিষয়ে স্কুলের সম্পাদক আবদুর রউফ বৈদ্য জানান, “এই ঘটনার পর থেকে স্কুলে ও হস্টেলে আরও বেশি করে ছাত্রদের প্রতি নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের।”