shono
Advertisement

‘উত্তেজনার বশে মারধর’, CMRI’র চিকিৎসক নিগ্রহে অনুতপ্ত নিহত প্রসূতির স্বামী

নিগৃহীত চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ। The post ‘উত্তেজনার বশে মারধর’, CMRI’র চিকিৎসক নিগ্রহে অনুতপ্ত নিহত প্রসূতির স্বামী appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 02:00 PM Feb 24, 2020Updated: 02:00 PM Feb 24, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগেরদিন সুস্থ ছিল স্ত্রী। আচমকা স্ত্রীর মৃত্যুর খবর মানতে পারেননি। তাই মাথার ঠিক রাখতে পারেননি। শুধুমাত্র উত্তেজনার বশেই CMRI-এর চিকিৎসককে চড় মেরে দেন তিনি। রবিবার নির্দেশমতো আলিপুর থানায় হাজির হয়ে একথাই স্বীকার করে নিলেন নিহত প্রসূতির স্বামী তপেন ভট্টাচার্য। প্রায় একঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর আলিপুর থানা থেকে বেরিয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে দেখতে যান তপেন।

Advertisement

অন্তঃসত্ত্বা এক তরুণী একবালপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে দিনকয়েক ভরতি ছিলেন। একটি সন্তানেরও জন্ম দেন। প্রসূতি এবং সদ্যোজাত সুস্থ রয়েছে বলেই জানায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। তবে বুধবার রাতে নার্সিংহোমের তরফে তরুণীর স্বামীর কাছে ফোন যায়। জানানো হয়, প্রসূতির অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তড়িঘড়ি নার্সিংহোমে পৌঁছনোর পর তিনি জানতে পারেন, স্ত্রী মারা গিয়েছে। নিহতের স্বামীর দাবি, ঘুমের ওষুধের ওভারডোজেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রীর। এই অভিযোগে বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর করতে থাকেন নিহতের পরিজনেরা। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে চিকিৎসক বাসব মুখোপাধ্যায়কে কষিয়ে চড় মারে প্রসূতির স্বামী। নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু হয়নি প্রসূতির। হৃদরোগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই ঘটনায় আলিপুর থানায় নিহত প্রসূতির পরিবার এবং নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ উভয়েই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। নার্সিংহোমের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে ওই বিক্ষোভের ছবি। সিসিটিভি ফুটেজে সংগ্রহ করেছে পুলিশ। তার ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

[আরও পড়ুন: দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছে দিব্যাংশু, মায়ের হাতে খাবার খেল পোলবার পুলকার দুর্ঘটনায় আহত খুদে]

এই ঘটনাতেই রবিবার আলিপুর থানায় ডেকে পাঠানো হয় নিহতের স্বামী তপেন ভট্টাচার্যকে। সেদিন ঠিক কেন চিকিৎসককে চড় মারলেন তিনি, তা জানান ওই ব্যক্তি। শুধুমাত্র উত্তেজনার বশেই CMRI-এর চিকিৎসককে চড় মেরে দেন বলে জানান তপেন। আইনজীবী এবং পরিজনদের সঙ্গে নিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অনুতপ্ত বলে পুলিশকে জানান তপেন। এরপর CMRI চলে যান। কারণ, সেখানেই এখনও ভরতি রয়েছে তাঁর সদ্যোজাত শিশুকন্যা। পুলিশ তার বয়ান রেকর্ড করেছে। ওই চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ।

The post ‘উত্তেজনার বশে মারধর’, CMRI’র চিকিৎসক নিগ্রহে অনুতপ্ত নিহত প্রসূতির স্বামী appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement