সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবারই এএফসির পক্ষ থেকে জবাব পেয়েছিল মোহনবাগান। আপাতত আর্থিক জরিমানা না হলেও এবারের এসিএল টু-তে (ACL 2) আর নামা হচ্ছে না জেসন কামিংসদের। ইরানের সেই সময়ের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির কথা চিন্তা করেই আপাতত মোহনবাগানের (Mohun Bagan) আর্থিক জরিমানা করা হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে তাদের এই ম্যাচ খেলতে যাওয়ার জন্য যে অর্থ খরচ হয়ে গিয়েছিল সেই ক্ষতিপূরণ দাবি করা যায় কিনা। ইতিমধ্যেই আইনি পরামর্শ নেওয়া শুরু করেছে তারা।
২ অক্টোবর ইরানে ট্রাক্টর ম্যাচ খেলতে না গেলেও সেই ম্যাচ খেলতে যাওয়ার জন্য পুরো তৈরি হয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। ফুটবলারদের বিমানের টিকিট, ইরানের হোটেলের বুকিং সবই করা হয়ে গিয়েছিল মোহনবাগানের পক্ষ থেকে। ঠিক ছিল আইএসএলের বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচ খেলে সেখান থেকেই ইরান উড়ে যাবেন জেসন কামিংসরা। কিন্তু ইরানের পরিস্থিতি অনুকূলে না হওয়ায় বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন মোহনবাগান ফুটবলাররা।
তারপর ক্লাবকে ৩৫ জন ফুটবলার লিখিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন তারা ইরানে খেলতে যেতে চান না। সেই চিঠি মোহনবাগানের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছিল এএফসিকে। সঙ্গে ম্যাচের ভেন্যু বদলের আবেদন। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এএফসি মোহনবাগানকে আর্থিক জরিমানার সাজা দেয়নি ঠিকই কিন্তু এবারের এসিএল টু-তে আর খেলার সুযোগ দেয়নি তাদের। এমন পরিস্থিতি মোহনবাগানকে যে উত্তরটি পাঠিয়েছে এএফসি তাতে একটি জায়গায় ‘ফোর্স ম্যাজিউর’ শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত কোন আকস্মিক প্রাকৃতিক ঘটনা বা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি এমন পরিস্থিতিতে এমন উল্লেখ করা হয়ে থাকে। এই আকস্মিকতাকে সামনে রেখেই ট্রাক্টর ম্যাচের জন্য খরচ হওয়া অর্থ দাবি করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। জানা গিয়েছে, আপাতত এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হতে পারে। সবটাই আলোচনা স্তরে রয়েছে।