বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: একদিকে রুপোলি পর্দার ফেলুদা এবং অন্যদিকে ফুটবলের ঈশ্বর। দুই নায়কের নামে আজও শিহোরিত হয় ‘জেনারেশন ওয়াই’। সংগঠনে তাঁদের যুক্ত করাই মূল লক্ষ্য সিপিএমের যুবদের। সেই লক্ষ্যে শহর কলকাতায় যে সর্বভারতীয় সম্মেলন হতে চলেছে, তার নাম আগেই দেওয়া হয়েছিল প্রয়াত দিয়েগো মারাদোনার নামে। এবার সম্মেলনে যুক্ত হলেন আজকের ‘ফেলুদা’ সব্যসাচী চক্রবর্তী (Sabyasachi Chakraborty)। অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি হলেন তিনি। যুক্ত হয়েই যুব কমরেডদের তাঁর পরামর্শ, পার্টি ক্ষমতায় নেই। শূন্য থেকে শুরু করতে হবে।
আগামী ১২ থেকে ১৬ মে সল্টলেকের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে হবে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) সর্বভারতীয় সম্মেলন। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসবেন যুব প্রতিনিধিরা। সম্মলনকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই হচ্ছে বিভিন্ন কর্মসূচি। হয়েছে ম্যারাথন, ফুটবল প্রতিযোগিতাও। সাইকেল ও বাইক মিছিল, বিতর্ক, ক্যুইজ- কিছুই বাদ পড়েনি।
[আরও পড়ুন: ১৩ মে থেকে ১৪দিনের জন্য বাতিল হাওড়ার এই শাখা ৬৮টি ট্রেন, জেনে নিন খুঁটিনাটি]
সাধারণত বামেদের যে কোনও সম্মেলনের জন্য যে অভ্যর্থনা কমিটি গঠন করা হয়, তার দায়িত্বে থাকেন হেভিওয়েট কোনও নেতা। যেমন সম্প্রতি কেরলের কান্নুরে সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি হন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কিন্তু দীর্ঘদিনের সেই প্রথা ভাঙলেন যুবরা। সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি করা হল অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীকে। এছাড়াও সম্মলনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা বাদশা মৈত্রদের।
সোমবার সম্মেলন নিয়ে প্রথম মুখ খোলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। তিনি জানান, দেশে বামপন্থীরা এখন সংকটে। দক্ষিণ ভারতে বামপন্থীদের অস্তিত্ব থাকলেও বাংলায় তাঁদের বিপদ বাড়ছে। সংঘ পরিবার, বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও বেশি ছাত্র যুবকে একত্রিত করার পরামর্শও দেন তিনি। সিপিএমের যুবদের আশা, খোদ ‘ফেলুদা’ প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকলে তা দলের পক্ষে ইতিবাচক হবে।