সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত রবিবার সলমনের গ্য়ালাক্সিতে গুলিবর্ষণ। আর এবার গ্য়ালাক্সিতে অ্য়াপ ক্যাবে পৌঁছে গেল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নামে! হ্যাঁ, ব্যাপারটি ঠিক এমনই ঘটেছে। বৃহস্পতিার রাতে গ্যালাক্সির সামনে পৌঁছয় একটি অ্য়াপ ক্যাব। যেটি বুক করা হয়েছিল গ্য়াংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নামে!
কাণ্ডটা একটু বিশদে বলা যাক। বৃহস্পতিবার রাতে সলমনের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছে একটি অ্য়াপ ক্যাব। সেই ক্যাব চালক লরেন্স বিষ্ণোই কোথায় থাকেন তা নিয়ে সলমনের বাড়ির গেটে দাঁড়ানো নিরাপত্তারক্ষীকে জিজ্ঞেস করেন। তিনি গার্ডকে বললেন যে, তিনি লরেন্স বিষ্ণোইকে তুলতে সেখানে এসেছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম শুনেই ক্যাব চালককে হেফাজতে নেন। এরপর গাড়ি চালককে বান্দ্রা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ক্যাব চালক জানতেনই না তিনি যে ঠিকানায় এসেছেন, সেখানে সলমন খানের বাড়ি। এটাও জানেন না যে, লরেন্স বিষ্ণোই একজন গ্যাংস্টার। ক্য়াব ড্রাইভার পুলিশকে জানায়, এক ব্যক্তিই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নামে এই ক্যাব বুক করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে বসবাসকারী ২১ বছর বয়সী এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে। যার নাম রোহিত ত্যাগী। রোহিত পুলিশকে জানিয়েছে খেলার ছলে সে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। শুক্রবার তাকে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
[আরও পড়ুন: ‘লাভ সেক্স ধোঁকা’ নয়, মারণফাঁদের ভিন্ন গল্প বললেন পরিচালক দিবাকর, পড়ুন রিভিউ]
এই মুহূর্তে দুবাইয়ে রয়েছেন সলমন খান। ক্যারাটে কম্ব্য়াট অনুষ্ঠানে অংশ নিতেই মরুশহরে পৌঁছেছেন ভাইজান। সেখান থেকে সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করেছেন সলমন।
প্রসঙ্গত, সলমনের বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ভুজ পুলিশ। তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে দাবি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সলমনের বাড়ি যান শিণ্ডে। তাঁকে স্বাগত জানাতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন খোদ সলমন। শিণ্ডের সঙ্গে করমর্দন করেন সলমন, সলমনের বাবা বিখ্যাত চিত্রনাট্যকার সেলিম, রাজনীতিক বাবা সিদ্দিকি ও তাঁর পুত্র জিশান। পরে শিণ্ডে আশ্বস্ত করেন সলমনকে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ”আমি সলমনকে বলেছি সরকার আপনার সঙ্গে রয়েছে। দুই অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা এই মামলার একেবারে মূল পর্যন্ত পৌঁছব। কেউ রেহাই পাবে না। কোনও গ্যাং কিংবা গ্যাংওয়ার বরদাস্ত করা হবে না। আমরা তা হতেই দেব না। আমরা বিষ্ণোইকে খতম করে দেব।”