সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত এক বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। লালবাজারের সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী প্রত্যুষা পাল (Pratyusha Paul)। এবার এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অভিনেত্রী জানালেন, প্রাক্তন প্রেমিক তথা অভিনেতা ফারহান ইমরোজের (Farhan Imroze) নাম উল্লেখ করেও তাঁকে কুকথা বলা হয়েছিল। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ফারহানের সঙ্গে যোগাযোগ করারও চেষ্টা করেছিলেন প্রত্যুষা। কিন্তু ফারহানের কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাননি বলেই অভিযোগ করেন তিনি।
‘তবু মনে রেখো’ ধারাবাহিকে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন প্রত্যুষা ও ফারহান। তাঁদের জুটি বেশ পছন্দ হয়েছিল ছোটপর্দার দর্শকদের। ২০১৭ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি আর ফারহান সম্পর্কে ছিলেন বলেই জানিয়েছেন প্রত্যুষা। তাঁর কথা অনুযায়ী, ফারহান তাঁকে ছেড়ে চলে যাওয়ার ওই ব্যক্তি খুশি হয়েছিল। ফারহান সুযোগ পেলে সে কেন পাবে না, এমন প্রশ্নও করা হয়েছে। ফারহান প্রমাণ করে দিয়েছে যে তাঁর মতো মেয়েকে বিয়ে করা যায় না। এমন মন্তব্যও করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কা-নিকের ডিভোর্স হতে চলেছে! বিস্ফোরক দাবি চলচ্চিত্র সমালোচক কেআরকে’র]
প্রত্যুষা জানান, এ বিষয়ে ফারহানের সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টাও করেছিলেন। ভেবেছিলেন, এমন পরিস্থিতিতে এক পুরুষের সাহায্য প্রয়োজন। কিন্তু ফারহান কোনও সাড়া দেননি বলেই অভিযোগ করেছেন ২১ বছরের অভিনেত্রী। তিনি জানান, অনেক যন্ত্রণা সহ্য করার পর ঠিক করেছেন নিজের সাহায্য নিজেই করবেন।
লালবাজারে সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রত্যুষা। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, এক বছর আগে এক ব্যক্তি তাঁকে প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) কিছু ‘নিরীহ’ মেসেজ পাঠায়। ওই ব্যক্তিটি কে, অভিনেত্রী তা জানতে পারেননি। এরপর ওই ব্যক্তি ধীরে ধীরে অশ্লীল মেসেজ পাঠাতে শুরু করে। এমনকী, একাধিকবার তাঁকে ‘ধর্ষণের হুমকি’ দেয়। তিনি ওই যুবককে ব্লক করে দিলে সে অন্য একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পাঠাতে শুরু করে মেসেজ। এমনকী, তাঁর মা ও হেয়ার ড্রেসারকেও হুমকি দেওয়া হয়। বিভিন্ন সময়ে অত্যন্ত অশ্লীল ভাষায় কটূক্তি করা হয় বলে অভিযোগ। গত বছর মেল করে সাইবার থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি ফের ওই ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় এতটাই বাড়াবাড়ি করে যে, তিনি তাঁর মাকে লালবাজারে যেতে বলেন। সেই সূত্র ধরেই এক বছর পর মামলা শুরু হল। এই ব্যাপারে IT আইন ছাড়াও শ্লীলতাহানি, ভয় দেখানো, হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।