বদলে গিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা সরকার। নায়িকাদের শীর্ষস্থানের প্রতিদ্বন্দ্বী এখন তিনিও। সামনে শম্পালী মৌলিক।
জীবন কেমন চলছে?
প্রিয়াঙ্কা: ঠিকঠাক। চলছে ভালই। বেশ কিছু কাজ হয়েছে। কিছু কাজের কথা চলছে। রিলিজও হল পরপর। এর থেকে ভাল আর কী হতে পারে! (হাসি)
প্রিয়াঙ্কার ব্যস্ততা যে তুঙ্গে সে তো টেরই পেলাম। কারণ আপনাকে মোবাইলেও ধরতে পারছিলাম না।
প্রিয়াঙ্কা: ভেরি সরি। ঘটনাচক্রে এই দু’ তিন দিন ডাবিংয়ের মধ্যে ছিলাম। খুব প্রেশার ছিল। ফোন ধরতেই পারছিলাম না। এনআইডিয়াজের প্রোডাকশনে জি ফাইভের জন্য একটা কাজ করলাম। যেটা পুজোয় আসবে। ‘ফিল্টার কফি, লিকার চা’ দেবারিত গুপ্তর পরিচালনায়। ওটারই ডাবিংয়ে আটকে ছিলাম। আর সামনে আমাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠান, সেটা নিয়েও একটু ব্যস্ততা চলছে।
এখনকার প্রিয়াঙ্কার একজন ম্যানেজার আছেন। আপনাকে অনেক বছর ধরে চেনার সূত্রে জানি, এই বিষয়টা নতুন। এই বদলটা ঠিক কী কারণে?
প্রিয়াঙ্কা: বলতে পারেন প্রয়োজন, এটা প্রফেশনালিজমের অংশ। সুবিধেগুলো আগে বলি। এই যে, ধরুন আপনি আমাকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। আপনার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল বলে, অনায়াসেই বলতে পারি, ‘আজকে এগজস্টেড লাগছে, প্লিজ কালকে ফোন করি।’ এটা আমি সবাইকে বলতে পারব না। কারও কারও খারাপ লেগে যেতে পারে। কেউ বলবে অহংকারী বা অ্যাটিটিউড প্রবলেম। সেখানে একজন মিডলম্যান থাকলে সুবিধা হয় কমিউনিকেশনের। ডিরেক্ট প্রেশারটা আমার উপর পড়ে না। স্ক্রিপ্ট রিডিং বা নতুন প্রোজেক্টের মিটিং, এগুলো কো-অর্ডিনেট করতে সুবিধে হয়। আমাকে নিজেকে অত ফোন নাম্বার অ্যাকসেস করতে হয় না। ম্যানেজার কমিউনিকেট করল প্রথমে, তারপর ভাল লাগলে আমরা প্রসিড করলাম। আরেকটা ব্যাপার হল, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে তো ভীষণ কম বাজেটে কাজ হয়। ‘একটু ম্যানেজ করে নিন’, অনেক সময়ই শুনতে হয়। আমার মনে হয় আর্টিস্টদের সরাসরি টাকাপয়সা নিয়ে কথাবার্তা বলা উচিত নয়। আমি পারি না নেগোশিয়েট করতে। কোথাও গিয়ে নিজেকে ছোট মনে হতে থাকে। একটা ভাল কাজ কেউ হয়তো করতে চাইছে, কিন্তু সামান্য টাকার জন্য দর কষাকষি অামি করতে পারব না। আবার দিনের শেষে অভিনয় আমার ব্রেড অ্যান্ড বাটার। সেগুলো করার জন্য একজন ম্যানেজারের খুব দরকার। বিল পেমেন্ট, চেক কালেক্ট করা, গাড়ি, কস্টিউম ইত্যাদি ব্যাপারগুলো স্মুদার হয়ে যায় তখন।
আচ্ছা, মিমি-নুসরত এখন সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে। নুসরত এবং শ্রাবন্তী বিয়েও করে ফেলেছেন। সোহিনী আছেন ঠিকই, কিন্তু তিনি একটু অন্য ঘরানার। কমার্শিয়াল বাংলা ছবিতে এখন অনেকটা খোলা মাঠ। সেটা কাজে লাগাতে আপনি কতটা উদ্যোগী?
প্রিয়াঙ্কা: (হাসি) অনেস্টলি, আমি এমনিতেই নিজে খুব ভাল কাজ করতে চাই। আমাদের এখানে খুব প্রমিনেন্টলি কমার্শিয়াল আর প্যারালাল ছবি আলাদা হয়ে গিয়েছে। সেটা আমরাই করেছি। কমার্শিয়াল কাজও আমার ভীষণ ভাল লাগে যখন সেটা লার্জার দ্যান লাইফ হয়। সেটা করা বেশি ডিফিকাল্ট। কারণ আমরা যে প্যারালাল কাজগুলো করি, সেই চরিত্রগুলোর সঙ্গে দর্শক অনেক বেশি রিলেট করতে পারে। দর্শক সেখানে নিজেদের প্রতিফলন দেখতে পায়। আবার কমার্শিয়াল কাজগুলোর ক্ষেত্রে, ইটস ফুল অন এন্টারটেনমেন্ট। মানুষ নিজের কথা ভুলে গিয়ে আনন্দ করে আসে। যেখানে দুষ্টু লোকেরা শাস্তি পায়, হিরোরা জেতে। হিরোর জীবনে সুন্দরী একজন হিরোইন থাকে। কমার্শিয়াল-প্যারালাল দুটোই এনজয় করি। একজন অ্যাক্টর হিসেবে আমি সবরকম এক্সপ্লোর করতে চাই। দু’ধরনের দর্শকের কাছেই পৌঁছতে চাই। আমার ভাগ্য ভাল যে, নানারকম কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি।
সে তো বুঝলাম। আমি জানতে চাইছি, এই মুহূর্তে রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে মেনস্ট্রিম ছবিতে মিমি-নুসরত সেভাবে না থাকায় যে ভ্যাকিউম তৈরি হয়েছে সেটা কতটা কাজে লাগাতে পারবেন মনে হয়? মনে হচ্ছে না ইট’স হাই টাইম?
প্রিয়াঙ্কা: না, না (হাসি)। ওইরকম নয়। যাদের নাম করলেন, তারা আমার ভীষণ ভাল বান্ধবী। ভাল সহ-অভিনেত্রী। আই অ্যাম রিয়েলি হ্যাপি ফর দেম। কাজেই ওভাবে দেখাটা ঠিক মনে হয় না। আমার জন্য যদি কোনও চরিত্র থাকে, পরিচালকদের যদি মনে হয় আমি করতে পারব, আমাকে মানাবে, তাহলে আমার কাছে কাজটা আসবে। এমন কাজের কথাও জানি, যেখানে মিমি সময় দিতে পারেনি বলে সেই ছবিটাই এখনও হয়নি। যেটা যার করার, সেটা সে-ই করবে।
[ আরও পড়ুন: পুজোয় হয়ে উঠুন সেলিব্রিটি, সুন্দর কটিদেশে শোভা পাক ট্রেন্ডিং ‘ফ্যানি প্যাক’ ]
অনেকেই কিন্তু বলছে, টলিউডের নেক্সট বিগ থিং ইজ প্রিয়াঙ্কা। কারণ আপনি ভোল পালটে ফেলেছেন পুরো। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম খুললেই আপনার সব গ্ল্যামারাস, হট ছবি।
প্রিয়াঙ্কা: ঈশ্বর করুন, এমনটাই যেন হয়। আমিও খুব ভাল ভাল কাজ করতে চাই। আপনারা বললে, আর দর্শক বললে নিশ্চয়ই হয়ে যাবে। (হাসি)
এই বদলটা নিজের মধ্যে কীভাবে আনলেন? অলমোস্ট বলিউডের নায়িকাদের মতো। আগে তো আপনি এমন ছিলেন না।
প্রিয়াঙ্কা: (হাসি) ডেফিনিটলি এটা হয়েছে ফিটনেসের জন্যই। একবার ফিটনেসের নেশাটা হয়ে যাওয়ায়, সেটা আমাকে চূড়ান্তভাবে মোটিভেট করেছে। একটা সময় আমি কনশাস থাকতাম যে, সবরকম পোশাকে আমাকে মানাবে না। কীরকম সাজব, কী পরব, কী পরব না, ভাবতে হত অনেক। সেখান থেকে এখন আমি অনেক কম ইনহিবিটেড এই ব্যাপারে। ফিটনেস চর্চার পরেই সেটা বুঝেছি।
মানে এখন যেমন ফোটোশুটের জন্য স্কিন শোতে আপনার আপত্তি নেই?
প্রিয়াঙ্কা: আমি ইনডিসেন্ট কিছু করছি না। যতটা অবধি আমার নিজের মনে হচ্ছে করা যেতে পারে, মানে পার্সোনালি যতটা অ্যালাউ করতে পারছি, ততটাই করব। এবং কেন নয়? আমাদের প্রফেশনে পোশাক নিয়ে এত ইনহিবিটেড থাকার তো প্রয়োজন নেই। আমি যদি চরিত্রের জন্য সুইমসু্যট পরতে পারি, তাহলে সুইমিং পুলেও নামতে পারি, সেখানে ছবি তোলাতে আপত্তি কোথায়? অফ কোর্স আই ক্যান ডু দ্যাট। কয়েকদিন আগেই শিল্পা শেঠির একটা বক্তব্য পড়ছিলাম। কতকটা এরকম যে- আমার বিকিনি পরা ছবির পোস্ট যদি কাউকে ফিটনেসের জার্নিতে ইন্সপায়ার করে, তাহলে আমি এরকম বিকিনি পরা মিলিয়ন ছবি পোস্ট করতে পারি। কনসেপ্টটা ওটাই। একসময় আমার খারাপ লাইফস্টাইল ছিল। ওভারওয়েট ছিলাম। সেখান থেকে লাইফস্টাইল চেঞ্জ করেছি। শরীর ট্রিম করেছি। খুব স্ট্রাগল করেছি। মানসিকতা চেঞ্জ করা সবচেয়ে বড় স্ট্রাগল ছিল। আগে ব্যাড হ্যাবিটগুলো থেকে নিজেকে বের করতে হয়েছে। এখন ফিটনেসই আমার নেশা। ঠিকঠাক ডায়েট ফলো করা নেশার মতো। আমার খুব ভাল লাগে যখন লোকে আমার এই জার্নিটাকে অ্যাকনলেজ করে। কমেন্টসে দেখি ‘প্রিয়াঙ্কা তোমাকে ভাল লাগছে’ বা ‘তোমার এই জার্নিটা আমাদের মোটিভেট করছে’। এটা আমাকেও অনুপ্রাণিত করে। এই পজিটিভিটিটা আমি রাখতে চাই। আমার এখনকার চেহারা, ছবি বা ড্রেসে যদি আমাকে ভাল লাগে তো ভাল। অ্যাট দ্য সেম টাইম আই ডোন্ট সাপোর্ট বডি শেমিং। যে যেমনই হোক, সে নিজেকে নিয়ে কনফিডেন্ট থাকলেই হল। আমি চাইছি বা একজন ব্যক্তি যা চাইছে সেটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট। আমি নানারকম পোশাক পরতে চাই বা মাস্ল বিল্ড করতে চাই। সেটা আমার ব্যাপার। এই জার্নিটা বাকিদের ইন্সপায়ার করলে সেটা বড় অ্যাচিভমেন্ট, এই আর কী (হাসি)।
ইন্ডাস্ট্রির বেশ কয়েক বছরের ইতিহাসে দেখা গিয়েছে যে, নায়িকা হয় নায়কের সঙ্গে প্রেম করছে, নয় পরিচালকের সঙ্গে অথবা প্রযোজকের সঙ্গে। কিন্তু ফোটোগ্রাফারকে বয়ফ্রেন্ড হিসেবে বেছে নিয়েছে এমনটা দেখা যায়নি। সেখানে আপনি ব্যতিক্রম।
প্রিয়াঙ্কা: না, ও আমার বয়ফ্রেন্ড নয়। কেন ঘুরে ফিরে আপনারা এই প্রশ্ন করেন (হাসি)! তথাগত আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। বেচারার একটা পরিবার আছে। এমন বললে তো ওকে বাড়ি থেকে বের করে দেবে (জোরে হাসি)।
আচ্ছা, আপনি কি তথাগত ছাড়া কাউকে দিয়ে ছবি তোলাবেন না? পেটেন্ট দিয়ে দিয়েছেন নাকি?
প্রিয়াঙ্কা: প্লিজ, ইনস্টাগ্রাম খুলে দেখুন। অন্যদের তোলা প্রচুর ছবিও আছে আমার। ডেফিনিটলি তথাগতর সঙ্গে কমফর্ট জোনটা অনেক বেশি। স্বীকার করছি ব্যক্তিগত কোনও ফোটোশুট করলে ওকেই প্রেফার করি। তার কারণ কেমিস্ট্রি বা বন্ডিং যেটাই বলুন না কেন, সেটা রয়েছে। ও জানে ঠিক কীভাবে আমাকে ক্যামেরায় ধরবে। কোনটা আমার বেস্ট অ্যাঙ্গেল, বা গেট আপ, ও খুব ভাল বোঝে। একজন নতুন মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হলে তার সঙ্গে আবার পুরো প্রসেসটার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এই আর কী। আমরা দু’জনে দু’জনের কাজের পদ্ধতিটা জানি। সোশ্যাল মিডিয়ার শুটগুলো আমরা মিউচুয়ালি ডিসকাস করে করি। এইভাবে হয়ে যায়।
এখন কি আপনারা একসঙ্গে থাকছেন?
প্রিয়াঙ্কা: না, না। উই আর নট লিভিং টুগেদার। অ্যাবসোলিউটলি নট।
বাট একটা স্পেশাল বন্ডিং তো রয়েছে?
প্রিয়াঙ্কা: আবার বলছি, হি ইজ মাই বেস্ট ফ্রেন্ড।
শুধু বেস্ট ফ্রেন্ড বলবেন?
প্রিয়াঙ্কা: হ্যাঁ, অনেক জেনুইন এই সম্পর্কটা। তাই বেস্ট ফ্রেন্ড বলাটাই ঠিক।
বুঝলাম। কিছু দিন আগে আপনি হইচই-এর ‘রহস্য রোমাঞ্চ সিরিজ’ করলেন। আর ‘হ্যালো সিজন থ্রি’ করবেন, না কি?
প্রিয়াঙ্কা: হ্যাঁ। ঠিক। সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। এছাড়া সিনেমার মধে্য হয়ে আছে অর্ণব মিদ্যার ‘অন্দরকাহিনি’ আর রাজীব বিশ্বাসের ‘প্রতিঘাত’।
আবার কি এসভিএফ-এর সঙ্গে সম্পর্কটা সহজ হয়েছে? ওদের ‘বিবাহ অভিযান’, ‘বর্ণ পরিচয়’-ও করলেন। আরও সিনেমার অফার পাবেন মনে হচ্ছে?
প্রিয়াঙ্কা: সত্যি জানি না। ওরা এত ভাল আর বড় বড় কাজ করছে, প্রোমোশন ভাল করে, নিশ্চয়ই চাই ওদের সঙ্গে ছবি করতে। ওদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কখনওই খারাপ ছিল না। মাঝখানে যেটা হয়েছিল, অদ্ভুত ডিসট্যান্স তৈরি হয়েছিল। আমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলাম। তাই ওরা হতাশ হয়েছিল। কারণ ওরাই আমাকে লঞ্চ করেছিল। ওরা না থাকলে আমাদের ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ হত না। তারপর ওদের অনেক প্রত্যাশা ছিল। ওরা অনেক ভাল ভাল প্রোজেক্ট অফার করেছিল, যেগুলো আবার আমি করিনি। কোথাও গিয়ে ওদের অভিমান হয়ে থাকাটাও খুব স্বাভাবিক। সেখান থেকে আই অ্যাম ভেরি গ্রেটফুল যে, যখন আমি আবার কাজ করছি, ওরা আমার পাশে থাকছে। এটা বড় ব্যাপার আমার কাছে। আগামিদিনে কী হয়, দেখা যাক।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বা শিবপ্রসাদ-নন্দিতার অফার পাচ্ছেন না?
প্রিয়াঙ্কা: ওদের জিজ্ঞেস করুন প্লিজ, কবে প্রিয়াঙ্কাকে নেবে? সৃজিতদার সঙ্গে আমার সবথেকে প্রশংসিত যে কাজটা, সেটা ‘হেমলক সোসাইটি’-র ওই একটা সিন। ওটা আমার লাইফ চেঞ্জ করে দিয়েছে, এমন একটা কাজ। তারপর বড় চরিত্রে আর আমাকে কাস্ট করেনি। কেন আমি জানি না। এটা সৃজিতদার কাছে আমার বড় প্রশ্ন। ‘রাজকাহিনী’-তে নিলেও এই জিজ্ঞাসাটা আছে। শিবুদা-নন্দিতাদির সঙ্গেও এখনও কাজ করা হয়নি। যদিও বহুবার কথা হয়েছে। কৌশিকদার সঙ্গে লাস্ট কাজ করেছি ‘ছায়া ও ছবি’-তে। এসব ফেভারিট পরিচালকদের সঙ্গে নিশ্চয়ই কাজ করতে চাই। ওরা কাস্ট করলেই করব। আর একজনের সঙ্গে কাজ করতে চাই। সেটা হল রিনাদি। এখনও হয়নি।
সামনে পুজো আসছে। আপনি একটা পুজোর মুখ। এই একটা পুজোর সঙ্গে আপনার এই স্পেশাল বন্ডিং কীভাবে?
প্রিয়াঙ্কা: বাঘাযতীন তরুণ সংঘের সঙ্গে আমার এই বন্ডিং সময়ের সঙ্গে গ্রো করেছে। ওরা যে সব কাজ করে, খুব জেনুইনলি করে। গত তিন বছর ধরে ওদের পুজোর মুখ আমি। পুজোর শুটেই ওদের সঙ্গে আলাপ। তারপর থেকে ওরা ফর্মালি আমাকে সব অনুষ্ঠানে ইনভাইট করেছে। ওদের ‘কজ’গুলো আমার ভাল লেগেছে। যেমন, পিঠেপুলি উৎসবের একটা সোশ্যাল কজ রয়েছে।
আচ্ছা, একটু অন্য প্রসঙ্গে যাই। রাহুলের সঙ্গে আপনার ডিভোর্সের মামলা কতদূর?
প্রিয়াঙ্কা: এটা নিয়ে এখন আমি কথা বলতে পারব না।
[ আরও পড়ুন: ‘৭ দিন জেলে থাকতে হয়েছিল’, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অকপট ‘সেক্রেড গেমস ২’-এর পঙ্কজ ]
শেষ প্রশ্ন, ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এখন টালমাটাল। প্রযোজকদের অবস্থানও নড়বড়ে। রব উঠেছে বাংলা ছবির কিছু হচ্ছে না। টলিউডের একজন প্রথম সারির নায়িকা হিসেবে আপনি কী বলবেন?
প্রিয়াঙ্কা: আমি খুব পজিটিভ পার্সন। মনে করি সিচুয়েশন ভাল। নিশ্চয়ই আরও বেটার হতে পারে। ভাল কনটেন্ট থাকলে, আর ভাল প্রোমোশন হলে, মানুষ কিন্তু বাংলা ছবি দেখে। সৃজিতদার ছবি বা ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুপ্তধনের সিরিজটা বা শিবুদা-নন্দিতাদির ছবি কিন্তু যথেষ্ট ভাল ওয়ার্ক করছে। ব্যবসার নিরিখে এই ছবিগুলি একস্ট্রা অর্ডিনারি। আর প্রতীমদার ‘মাছের ঝোল’-এর কথাও বলব। কীভাবে প্রোমোশন হচ্ছে এবং দর্শকের কাছে ছবিটা পৌঁছনো গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি অডিয়েন্স আসছে। ভাল লাগলে রিপিট অডিয়েন্স হচ্ছে। এবং ওয়ার্ড অফ মাউথ পাবলিসিটিও হচ্ছে। এটা কিন্তু ঠিক নয় যে, বাংলা ছবি ওয়ার্ক করছে না। যাদের কথা বললাম তাদের ছবি কিন্তু খুব হিট। (হাসি)
The post ‘তথাগত আমার বেস্ট ফ্রেন্ড’, ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে অকপট প্রিয়াঙ্কা সরকার appeared first on Sangbad Pratidin.