বিশাখা পাল: তিনি স্পষ্টবক্তা। যা ঘটে তা সটান মুখের উপর বলে দেন। তাই অপ্রিয় তিনি যেমন অনেকের কাছে, তেমনই অনেকের ভালবাসার মানুষ। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র এভাবেই থাকতে চান। ভালমন্দ মিশিয়ে ঠিক যেন পাশের বাড়ির মেয়েটি। নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘আমি শ্রীলেখা’ উদ্বোধনের দিন এসবই বলছিলেন তিনি। আর বলছিলেন তাঁর নিজের কথা।
৩০ আগস্ট তাঁর জন্মদিন। তাই চ্যানেল মুক্তির জন্য এই দিনটিকেই বেছে নিয়েছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। শ্রীলেখার এই আনন্দের দিনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা। আর ছিলেন বন্ধু সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, পরিচালক অনীক দত্ত ও আরও অনেকে। বাবার সঙ্গেই তিনি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের উদ্বোধন করেন। প্রথম এপিসোড মুক্তি পাওয়ার দিন ঘুরে ফিরে আসে তাঁর মায়ের কথা। শ্রীলেখা বললেন, এই মাসেই তিনি তাঁর মাকে হারিয়েছিলেন। একদিকে জন্মদিনের আনন্দ, অন্যদিকে মাকে হারানোর বিষাদ, সব মিলিয়ে আগস্ট তাঁর কাছে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। জন্মদিনে আজও মায়ের হাতের পায়েস চোখে জল আনে টলিউডের এই দাপুটে অভিনেত্রীর। মন খারাপ করে দেয়।
[ আরও পড়ুন: জন্মদিনে অনন্যভাবে ঋতুস্মরণ অমিতাভের, প্রকাশ্যে আনলেন ‘সিজনস গ্রিটিংস’-এর ফার্স্টলুক ]
প্রথম এপিসোডটি তিনি তাঁর মায়ের কথা মনে রেখেই বানিয়েছেন। প্রথম এপিসোডে ‘মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বল গৃহহীন মহিলাদের রাত্রিকালীন আবাস’-এ যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন তিনি। দেখা করলেন তাঁদের সঙ্গে, কথা বললেন। ওই মহিলাদের কথা শুনলেনও। দিলেন কিছু দরকারি টিপস। জন্মদিনের কেকও সবার সঙ্গে ভাগ করে খেলেন শ্রীলেখা। এদিন যেন তিনি অভিনেত্রী নন, পাশের বাড়ির মেয়ে।
ইউটিউবের উদ্বোধনের দিন শ্রীলেখা বললেন, আসলে তিনি এই রকমই। আর সেই কথাই দর্শকদের বলতে চান। নিন্দুকরা তাঁর মধ্যে অনেক বিতর্ক খুঁজে পান। কখনও পোশাক নিয়ে, কখনও তাঁর কথা নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। প্রথমদিকে তিনি সেগুলো এড়িয়ে যেতেন। কিন্তু, এভাবে কি সবসময় চলতে পারে? আর মুখ খুললেই তো বিপদ। সবাই না হলেও, অনেকেই ওঁৎ পেতে বসে থাকে বিতর্ক তৈরি করবে বলে। তাই এবার নিজের কথা নিজেই সর্বসমক্ষে আনতে চান শ্রীলেখা। ‘আমি শ্রীলেখা’ ইউটিউব চ্যানেল তারই প্রথম পদক্ষেপ।
[ আরও পড়ুন: ‘ভগবানের চাকর!’ রানুর মন্তব্যের উত্তরে কী বললেন সাহায্যকারী অতীন্দ্র? ]
The post বাবাকে পাশে নিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলের উদ্বোধন করলেন শ্রীলেখা মিত্র appeared first on Sangbad Pratidin.