সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি পরিচালক শ্যাম বেনেগল। বয়স হয়েছিল ৯০। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। শ্য়াম বেনেগলের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন তাঁর কন্যা পিয়া বেনেগল।
গত ১৪ ডিসেম্বরেই ৯০ বছর বয়সে পা দেন ভারতীয় চলচ্চিত্রর কিংবদন্তি পরিচালক শ্যাম বেনেগল। ১৯৭০ থেকে ১৯৮০ দশকে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতকে তিনি উপহার দিয়েছেন একের পর এক সিনেমা। ‘মন্থন’, ‘অঙ্কুর’, ‘ভূমিকা’, ‘জুনুন’, ‘মান্ডি’, ‘নিশান্ত’ ভারতীয় সিনেমার মাইলফলক। শুধু তাই নয়, ২০০১ সালে মুক্তি প্রাপ্ত জুবেদা ছবিটি বক্স অফিসের সঙ্গে সঙ্গে সমালোচকদের মন জয় করেছিল। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন করিনা কাপুর, মনোজ বাজপেয়ী এবং রেখা। ১৯৭৬ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন শ্য়াম বেনেগল। ১৯৯১ সালে তাঁকে দেওয়া হয় পদ্ম ভূষণও।
৯০ বছর বয়সে পা দিলেও তিনি নিজের কাজ নিয়ে সদা ব্যস্ত থাকতেন। গত বছরই ‘মুজিব: দ্যা মেকিং অফ নেশন’ নামক একটি সিনেমা পরিচালনা করেছিলেন তিনি যে সিনেমায় ভারত এবং বাংলাদেশের একাধিক নামিদামি অভিনেতারা অভিনয় করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশের অভিনেতা আরিফিন শুভকে। শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন নুসরত ফারিয়া। 'মুজিব' ছবির মুক্তি নিয়ে বাংলাদেশে বিতর্কের ঝড় বয়েছিল।
৯০ বছর বয়স হলেও, শ্যাম বেনেগল কাজের মধ্যেই নিজেকে ডুবিয়ে রাখতেন। বয়সগত কিছু শারীরিক সমস্যাকে ছাপিয়েই সিনেমা তৈরির কাজে মন দিয়েছিলেন। নব্বইতম জন্মদিনে সিনেমার প্রতি তাঁর অধ্য়াবসায় নিয়ে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমরা সবাই বৃদ্ধ হই। এটা মহৎ কিছু নয়। জন্মদিন একটা বিশেষ দিন হতে পারে কিন্তু আমি এটিকে বিশেষভাবে উদযাপন করি না। প্রতিবছরের মতো এই বছরেও আমি আমার অফিসে কেক কেটেছি সকলের সঙ্গে।’
জানা গিয়েছে, সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিস করার জন্য হাসপাতালে যেতে হত পরিচালককে। একাধিক শারীরিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তিনি যেভাবে নিজের জীবনে এগিয়ে যাচ্ছেন তা সত্যি প্রশংসার যোগ্য। বছরের শেষ সপ্তাহে শ্যাম বেনেগলের মতো পরিচালকের চলে যাওয়াটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সিনেপ্রেমীরা। শ্যাম বেনেগলের মৃত্যু এক যুগের অবসান।