কৃষ্ণকুমার দাস: বিজয়া সম্মিলনী থেকেই শিল্পায়ন রাজ্যে। তাজপুর বন্দর (Tajpur Port) তৈরির কাজ শুরুর পথে আরও একধাপ এগোল। বুধবার ইকো পার্কে (Eco Park) রাজ্য সরকারের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকেই তাজপুর বন্দরের নথিপত্র হস্তান্তরিত করা হল আদানি গ্রুপকে। শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থাই তৈরি করবে বন্দরটি। এদিন ইকো পার্কে রাজ্য সরকার আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত ছিলেন আদানিপুত্র করণ আদানি। তাঁর হাতেই তাজপুর বন্দরের ফাইলপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল আগেই। ধাপে ধাপে সেই কাজ এগিয়েছে। আগেই এই বন্দর তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি (Gautam Adani)। তাঁর সঙ্গে নবান্নে বেশ কয়েকবার বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে রাজ্য মন্ত্রিসভার সবুজ সংকেত পেয়ে আদানি গোষ্ঠীর হাতেই তুলে দেওয়া হয় বন্দর নির্মাণের দায়িত্ব। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে এই সিদ্ধান্ত হয়। তাজপুর সমুদ্র বন্দর তৈরি হলে যেমন জলপথে বাণিজ্যের পথ প্রশস্ত হবে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে, তেমনই হলদিয়া বন্দরের উপর থেকেও চাপ কমবে। তাই তাজপুর বন্দর ঘিরে আশা বাড়ছিল।
[আরও পড়ুন: শান্তি বজায় রাখতে মোমিনপুরে আরও চারদিন জারি ১৪৪ ধারা, সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা ডিজির]
বিজয়া দশমী উপলক্ষে ইকো পার্কে রাজ্য সরকার আয়োজিত সম্মিলনীতে সেই কাজেই আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এদিন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে ইকো পার্কে উপস্থিত হয়েছিলেন আদানি-পুত্র করণ আদানি। ছিলেন আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি, শিল্পপতি। এমন চাঁদের হাটেই তাজপুর বন্দরের নথিপত্র হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলকে সাক্ষী রেখে করণ আদানির হাতে তিনি তুলে দেন ফাইল। আশাপ্রকাশ করেন, দ্রুত কাজ শুরু হবে। বিজয়া উদযাপনে এমন এক মুহূ্র্তের সাক্ষী থাকতে পেরে খুশি সকলেই।