সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের ধনীদের তালিকায় তিনি এখন চার নম্বরে। তবু আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির (Gautam Adani) রূপকথার উত্থানের সঙ্গে সঙ্গেই জন্ম নিয়েছে এক আশঙ্কাও। ব্যবসা বৃদ্ধির অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষায় ঋণ-নির্ভর হতে গিয়ে কি আগামিদিনের জন্য বিপদ ডেকে আনছেন আদানি? অবশেষে এই বিষয়ে মুখ খুলল তাঁর সংস্থা।
ফিচ গোষ্ঠীর সংস্থা ক্রেডিট সাইটসের রিপোর্টের পালটা দিয়েছে আদানি গ্রুপ (Adani group)। তারা জানিয়েছে, যে ঋণের বোঝা ঘিরে এত কথা, সেই বোঝা এখন অনেকটাই কমিয়ে ফেলেছে তারা। ১৫ পাতার রিপোর্টে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ধারাবাহিক ভাবে ঋণকে ডি-লিভার করছে আদানি গ্রুপ। গত ৯ বছরে নিট ঋণের Ebitda অনুপাত ৭.৬ গুণ থেকে কমে ৩.২ গুণ হয়েছে।
[আরও পড়ুন: চার অর্থবর্ষে রাজ্যের দেনা কমেছে ৩ শতাংশ! ঋণের বোঝা কমিয়ে ভারতসেরা বাংলা]
কী দাবি করা হয়েছিল ক্রেডিট সাইটসের রিপোর্টে? গত মাসে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়, ব্যবসা বৃদ্ধির অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষায় ঋণ-নির্ভর হলে ঋণের ফাঁদে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর ফলে প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে আদানিদের সংস্থাগুলির জন্য। তবে সেই সঙ্গে এও বলা হয়, আদানিদের অতীত রেকর্ড যথেষ্ট আশাপ্রদ। শক্তিশালী ও স্থায়ী সংস্থা তৈরি করেছে তারা। তবে তা সত্ত্বেও সম্প্রতি চালু ও নতুন, দুই ধরনের ব্যবসায় যেভাবে আগ্রাসী বিনিয়োগ করতে দেখা গিয়েছে আদানিকে তা নিয়েই সংশয় ও আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এই আশঙ্কাকেই কার্যত নস্যাৎ করে দিল আদানি গ্রুপ।
ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপ। রিলায়েন্স এবং টাটা গোষ্ঠীর পরেই রয়েছে গৌতম আদানির গ্রুপের নাম। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ব্যবসা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে আদানি গোষ্ঠী। বাংলাদেশে আদানি গোষ্ঠী বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে শ্রীলঙ্কাতেও বায়ুশক্তি উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করেছিল আদানি গোষ্ঠী।