সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্ভবত আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এসে যাবে অক্সফোর্ডের (Oxford Vaccine) কোভিড ভ্যাকসিন। তবে তখন তা কেবল স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্কদের দেওয়া হবে। সাধারণদের পেতে পেতে এপ্রিল মাস। ‘সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া’র সিইও আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla) এমনটাই জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের মধ্যেই সম্ভবত দেশের প্রতিটি মানুষ এই ভ্যাকসিন পেয়ে যাবেন।
কিন্তু ভারতে কত দাম পড়বে এই ভ্যাকসিনের (COVID vaccine)? এদিন তা নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। পুনাওয়ালার দাবি, খুব বেশি হলে দু’টি ডোজের দাম পড়বে ১ হাজার টাকা। তবে চূড়ান্ত ট্রায়ালের ফলাফল ও অনুমোদন প্রাপ্তির পরেই তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব বলে জানান তিনি। তবে, এপ্রিলের মধ্যে ভ্যাকসিন চলে এলেও তা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে আরও দু’-তিন বছর লাগবে। তার কারণ হিসেবে সেরাম কর্তা বলছেন, এর পিছনে অনেকগুলি কারণ রয়েছে। জোগান, বাজেট থেকে শুরু করে পরিকাঠামোগত নানা সমস্যার জন্য এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে দীর্ঘ সময় লাগবে বলে মনে করছেন তিনি। তাছাড়া প্রত্যেককে তা স্বেচ্ছায় গ্রহণ করতে হবে বলেও তিনি পুনাওয়ালা।
[আরও পড়ুন: বেনজির, করোনা টিকার ট্রায়ালের জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এগিয়ে এলেন হরিয়ানার মন্ত্রী]
কতটা কার্যকর হবে এই ভ্যাকসিন? উত্তরে পুনাওয়ালা জানান, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার এই ভ্যাকসিন এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট ভাল কাজ করছে। এমনকী, বয়স্ক মানুষের শরীরেও এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর বিশ্বাস, এই ভ্যাকসিনের ফলে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে। তবে কতদিন তা কার্যকর থাকবে তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে পুনাওয়ালা বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে কোনও ভ্যাকসিন সম্পর্কেই একথা বলা যাবে না।’’
এদিকে এইমসের ডিরেক্টর ড. রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে ফাইজার ও তার সহযোগী সংস্থা বায়োএনটেক-এর সঙ্গে কথা চলছে। তবে এই এই ভ্যাকসিনের সংরক্ষণের জন্য মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কোল্ড চেইন প্রয়োজন। সেটা যে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে তা মেনে নেন ড. গুলেরিয়া। পাশাপাশি আরেক প্রতিষেধক নির্মাতা মার্কিন সংস্থা মোডের্নার সঙ্গে খুব বেশি কথা এখনও এগোয়নি বলে জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: দেড়মাস পর দেশে দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে কমল করোনাজয়ীর সংখ্যা, বাড়ল অ্যাকটিভ কেস
সব মিলিয়ে অক্সফোর্ড, ভারত বায়োটেক-সহ একাধিক দেশি-বিদেশি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল যেভাবে অন্তিম পর্যায়ের দিকে এগোচ্ছে তাতে আগামী বছরের শুরুর দিকেই যে দেশে ভ্যাকসিন মিলবে সেকথা বোঝা গিয়েছে কিছুদিন আগে থেকেই। আগাম ভ্যাকসিন কেনার দৌড়ে বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশকেই পিছনে ফেলেছে ভারত।