গৌতম ব্রহ্ম: গণপিটুনিতে প্রাণহানির ঘটনা লেগেই রয়েছে। কলকাতা, সল্টলেক থেকে ঝাড়গ্রাম - গণপিটুনি যেন রোখা যাচ্ছে না। গত পাঁচ বছর ধরে গণপিটুনি বিরোধী বিল রাজভবনে আটকে থাকায় কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না বলেই দাবি রাজ্যের। এই পরিস্থিতিতে গণপিটুনিতে লাগাম টানতে ৬ দফা এবং একের পর এক সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা রুখতে ৫ দফা নির্দেশিকা জারি করলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা।
১. গত কয়েক সপ্তাহে গণপিটুনির মতো ঘটনা বেড়েছে। তাই সমস্ত সরকারি আধিকারিককে গণপিটুনির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।
২. এলাকায় গণপিটুনি সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশদের কাজে লাগাতে হবে।
৩. গণপিটুনি রুখতে জনমানসে সতর্কতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
৪. জনসচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় ক্লাবগুলিকে কাজে লাগাতে হবে।
৫. সোশাল মিডিয়ায় গুজব রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে।
৬. সোশাল মিডিয়ায় কড়া নজরদারি চালাতে হবে। যে বা যারা গুজব রটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
[আরও পড়ুন: মানিকতলায় তৃণমূল প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডের হয়ে প্রচারে নুসরত জাহান!]
গত কয়েকদিনে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনাও ঘটেছে। রানিগঞ্জ, চণ্ডীতলার পর বজবজেও আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দিনেদুপুরে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ডাকাতি রুখতে ৫ দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
১. কারা ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে, সে সংক্রান্ত তথ্য জোগাড় করতে হবে। প্রয়োজনে বিহার এবং ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।
২. জেলবন্দি কোনও 'গ্যাংস্টার' ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত কিনা, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
৩. স্পর্শকাতর এলাকায় নাকা তল্লাশি বাড়াতে হবে।
৪. কিছু কিছু ঘটনায় দুষ্কৃতীদের আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক, বোমা উদ্ধারে পদক্ষেপ করতে হবে।
৫. কোনও মহিলার বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধ অনেক বেশি সংবেদনশীল। ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।