সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সুযোগ পেয়েও ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখলেন। উলটে ভোট হিংসা নিয়ে বাংলার শাসকদলকে নিশানা করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই (Narendra Modi) বিঁধলেন। অধীর চৌধুরী যিনি কিনা রাজ্য রাজনীতিতে প্রবল মমতা বিরোধী হিসাবে পরিচিত, তাঁর এ হেন অবস্থানে খানিকটা হলেও অবাক রাজনৈতিক মহল। প্রশ্ন ওঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি অধীর তৃণমূলকে নিয়ে সুর খানিকটা নরম করলেন?
আসলে, শনিবার বিজেপির পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনে ভারচুয়ালি বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বাংলার ভোট হিংসা নিয়ে সরব হন। তৃণমূলকে বিঁধে অভিযোগ করেন,”বাংলার ভোটে তৃণমূল রক্তের খেলা খেলেছে। বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে। ভোটারদের ভয় দেখানো হয়েছে, ব্যালট বাক্সও চুরি হয়েছে। ভোটে অবাধে ছাপ্পা হয়েছে। বুথ দখলের জন্য গুন্ডাদের বরাত দেওয়া হয়েছে। বাংলায় তৃণমূলের রাজনীতির এটাই পদ্ধতি।” অর্থাৎ অধীর এতদিন বাংলায় বসে যে অভিযোগগুলি করছিলেন, সেটাই এদিন মোদি ভারচুয়াল ভাষণে বললেন।
[আরও পড়ুন: সৌরভের সঙ্গে কীভাবে আলাপ হল নিহত স্বপ্নদীপের বাবার? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
অথচ, এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অধীর (Adhir Ranjan Chowdhury) আর মমতাকে আক্রমণ করেননি। উলটে বিঁধেছেন মোদিকেই। কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা মেনে নিয়েছেন বাংলায় হিংসা হয়েছে। কিন্তু পরক্ষণেই তাঁর প্রশ্ন,”হিংসা কি শুধু বাংলাতে হচ্ছে? হিংসা কি শুধু রাজস্থানে হচ্ছে? হিংসা কি শুধু মধ্যপ্রদেশে হচ্ছে? বিজেপি বাংলার হিংসার কথা বলছে, রাজস্থানে হিংসার কথা বলছে, অথচ মধ্যপ্রদেশের হিংসার কথা বলছে না। উত্তরপ্রদেশে হিংসার কথা বলছে না। হরিয়ানার নুহ-তে কী হচ্ছে সেটা বলছে না। আসলে ওদের প্রতিবাদটা ভীষণ বাছাই করা। যেখানকার ঘটনার কথা বললে ওদের সুবিধা হবে, সেটাই বলছে।”
[আরও পড়ুন: ‘দোষ থাকলে শাস্তি হোক’, যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় দাবি ধৃত সৌরভের বাবার]
বাংলার পঞ্চায়েত হিংসাকে যেভাবে মণিপুরের (Manipur) সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে, সেটা নিয়েও সরব হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অধীর বলছেন,”বাংলার হিংসার সঙ্গে মণিপুরের হিংসার তুলনা করা মানে আনারসের সঙ্গে বেনারসের তুলনা। দুটো বিষয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক।”