বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বঙ্গের কোনও নির্বাচনকে গুরুত্ব দেয় না হাইকমান্ড। তাঁদের মনোভাবেই তা স্পষ্ট। হাইকমান্ডের মনোভাব বুঝে গিয়েছেন প্রদেশ সভাপতিও। তাই পুরভোটের সময় দিল্লি ও বহরমপুরে নিজেকে আটকে রেখেছিলেন। শুক্রবার সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) দূতের কাছে ক্ষোভ উগরে দিলেন কংগ্রেসের প্রদেশ ও জেলা নেতৃত্ব। শুক্রবার প্রদেশের সাধারণ সম্পাদক, সহ সভাপতি ও জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন হাইকমান্ড নিযুক্ত পর্যবেক্ষক সাংসদ চেল্লা কুমার। ছিলেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীও।
বিধানসভা ভোট থেকে শুরু। কোনও নির্বাচনেই প্রচারে হাজির হয়নি দিল্লির নেতারা। প্রদেশের হেভিওয়েট নেতারাও ছিলেন গরহাজির। তিনটি পুরভোটেই ব্যক্তিগত সামর্থের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছে। এমনকী, অর্থ দিয়ে সাহায্য করেনি হাইকমান্ড বা প্রদেশ। ফলে পুরভোটে যতটুকু সাফল্য এসেছে তা ব্যক্তিগত। প্রদেশ কংগ্রেসের সাফল্য বলে দাবি করতে পারে না। আর হাইকমান্ডের মনোভাব থেকেই স্পষ্ট হয় বঙ্গ কংগ্রেস নিয়ে দিল্লির নেতারা কতখানি চিন্তিত!
[আরও পড়ুন: দাউদাউ করে জ্বলছে ট্যাংরার প্লাস্টিক কারখানায়, ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নেভাতে সমস্যায় দমকল]
দিল্লির কাছে বঙ্গ কংগ্রেস গুরুত্ব হারাচ্ছে বলে সোনিয়া গান্ধী নিযুক্ত পর্যবেক্ষকের কাছে অভিযোগ জেলা সভাপতিদের। দীর্ঘ ন’মাস বাংলায় পা রাখেননি দিল্লির কোনও নেতা। এদিন পর্যবেক্ষককে সামনে পেয়ে এমনভাবেই ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। ক্ষোভ বিক্ষোভের ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়। অবস্থা বুঝে প্রদেশ ও জেলা নেতাদের একে একে অভিযোগ জানানোর নির্দেশ দেন সাংসদ চেল্লা কুমার। যদিও বৈঠকে হাজির কোন নেতা আলাদা করে অভিযোগ জানায়নি বলে বিধানভবন সূত্রে খবর।
বৈঠকে সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না আরেক সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, অমিতাভ চক্রবর্তী বা শুভঙ্কর সরকাররা। কেন অনুপস্থিত ছিলেন চেল্লা কুমার জানতে চান বলে জানা গিয়েছে। এদিকে আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের খুনের প্রতিবাদে শহরে মিছিল করার কথা কংগ্রেসের। এছাড়াও চেল্লা কুমারকে নিয়ে অধীর চৌধুরী মৃত আনিসের বাড়িতেও গিয়েছেন এদিন।