রাহুল চক্রবর্তী: রাশিয়া থেকে কলকাতার আনুমানিক দূরত্ব ৩৪৩৮ মাইল। দূরত্ব যাই হোক ফুটবল বিশ্বকাপ জ্বরে আক্রান্ত বাংলা। আনন্দে মাতোয়ারা আট থেকে আশি। রাজনীতিবিদরাও বিভক্ত। কেউ ফ্রান্সের সাপোর্টার। কেউ আবার ক্রোয়েশিয়ার হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন। কিন্তু সকলেই বলছেন, রবিবার একটা দারুণ ম্যাচ উপভোগ করার জন্য তৈরি।
[OMG! ফাইনালের আগে নেটদুনিয়ায় ফের উষ্ণতা ছড়ালেন ক্রোট প্রেসিডেন্ট!]
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র মূল্যায়নে দু’দলের জেতার পজিশন ৫০-৫০। তাঁর বক্তব্য, “আমি প্রথম থেকেই লিখিতভাবে বলে আসছি, এক নম্বরে ফ্রান্স। আর দু’নম্বরে বেলজিয়ামকে রেখেছিলাম। মন থেকে চেয়েছিলাম বেলজিয়াম জিতুক। এখন একদমই আশ্চর্য হব না যদি ক্রোয়েশিয়া জিতে যায়। কিন্তু ৫০-৫০ পজিশন দু’দলেরই।” কীভাবে উপভোগ করবেন ফাইনালের আনন্দ? বাবুলের বক্তব্য, “শনিবার কলকাতায় ফুটবল ম্যাচ খেলা ছিল সেলিব্রেটিদের সঙ্গে। ফলে ফুটবল জ্বরটা বিশ্বকাপের একদিন আগে থেকেই শুরু। ফাইনালের দিন কলকাতায় থাকব। বন্ধুদের সঙ্গে খেলা দেখব, এরকম একটা পরিকল্পনা রয়েছে। আমাকে রাশিয়া যাওয়ার জন্য অনেকেই বলেছিল। চেনাশোনা অনেকেই গিয়েছে। আমি আর একটু বুড়ো হয়ে গেলে যাব।” নিজের বিধানসভা এলাকায় জায়েন্ট স্ক্রিন বসিয়েছেন বিধায়ক সুজিত বসু। এলাকার লোকজনদের সঙ্গে ফাইনালের আনন্দ উপভোগ করবেন। ফাইনাল নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “শনিবার শ্রীভূমি স্পোটিং ক্লাবের খুঁটি পুজো ছিল। ফলে রথযাত্রা ও দুর্গাপুজোর শুভারম্ভ। আর রবিবার বড় পর্দায় খেলা দেখে আনন্দ উপভোগ করব। এলাকায় জায়েন্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছে। এলাকার লোকজনদের সঙ্গে ফুটবল খেলা দেখব। ফাইনালে ফ্রান্স বেশি ফেবারিট। তবে ক্রোয়েশিয়ার খেলা ভাল লেগেছে। ভাল খেলছে ক্রোয়েশিয়া দল। আমার মনে হচ্ছে ফ্রান্সই জিতবে।”
[ইস্তফার জল্পনায় জল, শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা সুরঞ্জনের]
বিশ্বকাপের জ্বরে কাবু হয়ে রাশিয়া পাড়ি দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। তাঁর বক্তব্য, “ফাইনাল উপভোগ করতে রাশিয়ায় এসেছি। ফ্রান্সের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার অদম্য মানসিকতাকে রেসপেক্ট করছি। ফাইনালে একটা প্রতিষ্ঠিত শক্তি। তারা বিশ্বকাপ পেয়েছে। আর একটা দল নতুন উন্মাদনায় বিশ্বকাপ দখল করতে চাইছে। এই দুটো দলকে উপভোগ করা সবথেকে বড় ব্যাপার। স্নায়ুযুদ্ধ চলবে।” রাজনৈতিক কাজকর্ম আটটার মধ্যে সেরে ফেলে টিভির সামনে বসে পড়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য, “ফাইনালে কার সাপোর্টার ঠিক বলা মুশকিল। ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে কোনও দলকে সমর্থন না জানিয়েই বসলাম। কিন্তু খেলা চলতে চলতে ক্রোয়েশিয়ার সাপোর্টার হয়ে গেলাম। যা রবিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কারণ এটাই ক্রোয়েশিয়া প্রথমবার ফাইনাল খেলছে। আকর্ষণটা থাকবে ক্রোয়েশিয়ার দিকে। তবে যা কর্মসূচি আছে, তাড়াতাড়ি শেষ করে আটটার মধ্যে বাড়িতে পৌঁছবই।”
The post বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখতে রাশিয়ায় অধীর! বাবুলের মতে ম্যাচ ৫০-৫০ appeared first on Sangbad Pratidin.