সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুরের (Manipur) সংঘর্ষ পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে পারে চিন! দু’দিনের জন্য সেরাজ্যে সফর করে এসে সাফ এই কথা জানালেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তাঁর মতে, যদি মণিপুরে দ্রুত শান্তি না ফেরে তাহলে সংকটের মুখে পড়বে গোটা দেশের নিরাপত্তা। কিন্তু কেন্দ্র সরকার এই অবস্থার গুরুত্ব বুঝতে পারছে না। প্রসঙ্গত এদিনই ভারতীয় সেনার প্রাক্তন প্রধান এমএম নারাভানে বলেছেন, মণিপুর হিংসার নেপথ্যে চিনের (China) ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারীরা হিংসায় মদত দিচ্ছে, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিরোধীদের INDIA (INDIA Alliance) জোটের ২০ জনের প্রতিনিধি দল মণিপুরের নানা এলাকা ঘুরে দেখেন। দু’দিনের সফর শেষে একাধিক বিষয়ে মুখ খোলেন তাঁরা। এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। সফর শেষে দিল্লিতে ফিরে তিনি বলেন, “মণিপুর একেবারে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র সরকার এই অবস্থাটা বুঝতে পারছে না। মণিপুরের সঙ্গে মাত্র ৭৫ কিলোমিটারের সীমান্ত মায়ানমারের, তার ঠিক পিছনেই রয়েছে চিন। গোটা পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। আমি রাজনীতির উর্ধ্বে উঠেই বলছি, দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও মণিপুর যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে।”
[আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ, লেখানো হয় মুচলেকা! ঘরে ফিরে বিস্ফোরক ‘অপহৃত’ বিরোধী প্রার্থীরা]
কংগ্রেস সাংসদের কথাই শোনা গিয়েছে ভারতের প্রাক্তন সেনাপ্রধানের মুখেও। নারাভানে বলেন, “মণিপুরে ধারাবাহিক হিংসার নেপথ্যে চিনের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। উত্তর-পূর্বের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে ধারাবাহিক ভাবে মদত দেয় চিন। আমি নিশ্চিত যে ভারত সরকার চিনের এই অভিসন্ধি সম্পর্কে অবহিত এবং এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।” যদিও কেন্দ্রের তরফে সরাসরিভাবে চিনের মদত প্রসঙ্গে কিছুই বলা হয়নি।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে দিল্লি থেকে ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিদল মণিপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। তাঁরা বেলা বারোটা নাগাদ ইম্ফলে পৌঁছেই দু’ ভাগ হয়ে গিয়েছিলেন। এক এলাকার গাড়ি অন্য এলাকাতে ঢুকতে পারছে না। সে কারণে ভরসা কেবল হেলিকপ্টার। কিন্তু কপ্টার মিলেছে একটাই মাত্র। একদল পাহাড়ি অঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ কুকিদের সঙ্গে দেখা করে। অন্যদলটি উপত্যকায় মেইতেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে দেখা করে।