বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে আচমকা দিল্লিতে ডেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজে নিয়োগের ঘটনায় রাজ্যের পাশে দাঁড়াল বিরোধী বাম ও কংগ্রেস (Left and Congress)। দিল্লির সিদ্ধান্তকে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ বলেই মনে করছে দুই দল। আইনগতভাবে এই প্রক্রিয়ায় কোনও ত্রুটি না থাকলেও, ঘটনার সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) ও সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সংঘাত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আঘাত করবে বলে মনে করেন কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা।
এই ইস্যুতে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে একমত সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty)। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার গা জোয়ারি করছে বলে মনে করেন তিনি। তাঁর মতে, মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে চাকরি করেন। কেন্দ্রই এই সব আধিকারিকদের রাজ্যে কাজ করার জন্য অনুমতি দেন। তবে যে সময় মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠানো হলো তা ঠিক হয়নি বলে মনে করেন তিনি। গোটা দেশজুড়ে করোনার সঙ্গে লড়াই চলছে। সেইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড় যশের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত বাংলা। এই অবস্থায় দুই সাংবিধানিক প্রধানের মধ্যে মুখ্যসচিবকে নিয়ে ব্যক্তিত্বের সংঘাত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ক্ষতি করবে বলে মনে করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এই ব্যক্তিত্বের সংঘাত বন্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি, রোগীর পরিবারের ‘তাণ্ডবে’ ধুন্ধুমার বাগুইআটির নার্সিংহোমে]
যে রাজ্যে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক কাজ করছেন, তাঁদের সুবিধা অসুবিধাও দেখতে হয়। কোভিডের সঙ্কটজনক পরিবেশ, সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। সেই পরিবেশ পরিস্থিতি সবার আগে বিবেচনা করতে হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার যা করছে, তাকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বলে মনে করেন প্রদেশ সভাপতি। অধীরের সুরে সুর মিলিয়েছেন প্রাক্তন বাম পরিষদের নেতা সুজন চক্রবর্তী। মুখ্যসচিবকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কার্যত গা জোয়ারি করছে বলে মনে করেন তিনি। রাজ্যের উচিত, কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করা। তবে মুখ্যসচিব যে কাজ করেন বর্তমান সরকারের সময় সেই কাজের দায়িত্ব খর্ব হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। বর্তমান সরকারের সময় আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandyopadhyay) সভায় ‘ঘটকে’র ভূমিকা পালন করছে বলে কটাক্ষ করেন সুজন চক্রবর্তী।