সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার রাতেই নিজের পুরনো সিংহাসন ফিরে পেয়েছেন অধীররঞ্জন চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury)। যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে তাঁকে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু অধীরবাবুর এই পদপ্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই আরও একটা বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তাহলে কি এবার লোকসভার কংগ্রেস দলনেতার পদ তাঁর হাতছাড়া হতে চলেছে?
আসলে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বহুদিন আগেই কংগ্রেসে এক ব্যক্তি এক পদের নিয়ম চালু করেছেন। সেক্ষেত্রে অধীরকে দুটি বড় পদে একসঙ্গে রাখাটা কংগ্রেসের পক্ষে অস্বস্তিকর হতে পারে। অন্য নেতারাও একই সঙ্গে একাধিক পদ দাবি করতে পারেন। তাছাড়া সাম্প্রতিক চিঠি কাণ্ডের পর অধীরকে ওই পদ থেকে সরানো নিয়ে এমনিতেও একটা অস্ফুট জল্পনা চলছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, গান্ধী পরিবারের 'গুড বুকে' থাকলেও লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতার পদে অধীর কোনওদিনই সোনিয়ার (Sonia Gandhi) প্রথম পছন্দ ছিলেন না। বরং তাঁকে ওই পদে বসিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের দলনেতা হওয়ার পর অধীর যেমন মোদি সরকারকে সমানে আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন, তেমনি একাধিক ক্ষেত্রে বেফাঁস মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতেও ফেলেছেন।
[আরও পড়ুন: পুরনো সৈনিকেই আস্থা সোনিয়ার, প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি অধীর চৌধুরি]
সম্প্রতি কংগ্রেসের (Congress) যে ২৩ জন নেতা নেতৃত্বে বদল চেয়ে সোনিয়াকে চিঠি লিখেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্তত দুজনের নজর রয়েছে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতার পদে। একজন মণীশ তেওয়ারি, অপরজন শশী থারুর। এই দুজনই বক্তা হিসেবে ভাল। এবং নিজেদের এই পদের জন্য অনেক বেশি যোগ্য বলে মনে করেন। সূত্রের খবর, দলের নেতৃত্ব বদলের যে দাবি এঁরা তুলেছিলেন, তার অন্যতম কারণই ছিল কংগ্রেসের দলনেতার পদটি না পাওয়া। শোনা যাচ্ছে, যারা চিঠি লিখেছেন, তাঁদের সঙ্গে এখন সমঝোতা করতে চাইছেন সোনিয়া। সেক্ষেত্রে এই দু'জনের মধ্যে একজনকে কংগ্রেস দলনেতার পদ দেওয়া হতে পারে। আর অধীরবাবু যেহেতু প্রদেশ সভাপতির পদে বসলেন, তাই তিনিও আর অভিযোগ করতে পারবেন না। তাছাড়া, সামনে বাংলার নির্বাচন, তার আগে এক ব্যক্তির পক্ষে প্রদেশ সভাপতির পদ সামলে দিল্লিতে লোকসভার দলনেতার দায়িত্ব সামলানোটা সত্যিই কঠিন কাজ হবে। তাই, অনেকেই মনে করছেন এবার হয়তো দিল্লির দায়িত্ব ছেড়ে অধীরকে শুধু বাংলাতেই মনোনিবেশ করতে বলা হবে।