সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন সেনা সরতেই আফগানিস্তানে (Afghanistan) শুরু হয়েছে তালিবানি শাসন (Taliban Terror)। ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারও গঠিত হয়েছে। আর তালিবান যুগ শুরু হতেই প্রত্যাশামতোই মহিলাদের জন্য জারি হয়েছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা। মহিলাদের কোনওরকম খেলাধূলায় অংশ নিতেও পরিষ্কার বারণ করে দিয়েছে তালিবরা। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে (Pakistan) এসে আশ্রয় নিল আফগান মহিলা ফুটবল দলের ৩২ জন সদস্য।
আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যেতেই প্রচুর মানুষ দেশত্যাগ করেছেন। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন কাতারে। আফগান জুনিয়র মহিলা দলের সদস্যদেরও সে দেশে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাবুল বিমানবন্দরে ঘটা বিস্ফোরণের জেরে তাঁদের সেই যাত্রা বাতিল হয়ে যায়। এরপরই ওই ফুটবলার এবং তাদের পরিবাররা তালিবানের কাছ থেকে হুমকি পেতে শুরু করে। শেষপর্যন্ত পাকিস্তান সরকার তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসে। ওই ফুটবলার এবং তাদের পরিবারের তড়িঘড়ি ভিসার ব্যবস্থা করা হয়।
[আরও পড়ুন: তালিবান আমলে আফগানিস্তানকে বিপুল আর্থিক সাহায্য ঘোষণা আমেরিকার]
জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ফুটবল ফর পিস এবং পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের সহায়তায় ওই ৩২ জন খেলোয়াড় এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করে আফগানিস্তান থেকে বের করে পাকিস্তানে নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত পেশোয়ার থেকে লাহোর নিয়ে যাওয়া হবে ওই ফুটবলারদের। সেখানে পাকিস্তান ফুটবল দলের হেড কোয়ার্টারে থাকবেন তাঁরা। এদিকে, গত সপ্তাহেই দোহায় গিয়ে আফগান শরণার্থীদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ানি ইনফ্যান্টিনো। যদিও আফগান ফুটবলারদের সহায়তায় ফিফা এগিয়ে না আসায় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থাকেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আফগান খেলোয়াড়দের কোনওরকম খেলাধূলায় অংশগ্রহণেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তালিবানরা। ক্রিকেট-সহ যেকোনও খেলার ক্ষেত্রেই মহিলাদের শরীর উন্মুক্ত হয়ে যায়। আর তাই কোনও খেলার সঙ্গেই আফগান মহিলাদের যুক্ত থাকার দরকার নেই। তালিবানের কালচারাল কমিশনের ডেপুটি হেড আহমাদুল্লাহ ওয়াসিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে এই ফতোয়ার কথা জানায়।