সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের মরশুমের আগেই আফগানিস্তানে (Afghanistan) বিদ্যুতের জোগান নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। সূত্রের খবর, বকেয়া টাকা না মেটানোর জেরে এবার রাজধানী কাবুল-সহ একাধিক আফগান প্রদেশে বিদ্যুতের জোগান বন্ধ করল উজবেকিস্তান।
[আরও পড়ুন: কিমের কোরিয়ায় অনাহারের আশঙ্কা, রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে প্রকাশ্যে উদ্বেগজনক তথ্য]
জানা গিয়েছে, অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে যুদ্ধজর্জর দেশটির বিস্তীর্ণ এলাকা। রাজধানী কাবুল ও বাঘলান প্রদেশের বেশ বড় একটি অংশে বিদ্যুতের জোগান বন্ধ করে দিয়েছে পড়শই দেশ উজনেকিস্তান। তবে তালিবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানের সরকারি বিদ্যুত সংস্থা ‘দা আফগানিস্তান ব্রেশনা শেরকত’-এর দাবি প্রযুক্তিগত সমস্যার জেরেই বন্ধ রয়েছে বিদ্যুতের জোগান। শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান বের করা হবে।
আফগানিস্তানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জোগান দেওয়ার জন্য সেই অর্থে কোনও কেন্দ্রীয় পরিকাঠামো বা ‘ন্যাশনাল পাওয়ার গ্রিড’ নেই। ফলে পড়শি মধ্য এশীয় দেশগুলি থেকেই বিদ্যুৎ আমদানি করতে হয় কাবুলকে। আফগানিস্তানে জেহাদিরা ক্ষমতায় আসার পর ইস্তফা দিয়েছেন দেশের সরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার প্রধান দাউদ নুরাজি। তারপর থেকেই কার্যত থমকে রয়েছে সমস্ত প্রশাসনিক কাজ। এছাড়া, বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির বকেয়াও মেটাচ্ছে না তালিবান। ফলে শীতের মরশুমের আগে জোগান বন্ধ করে দিতে পারে তারা। মূলত উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান থেকে দেশের প্রয়োজনের ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ আমদানি করে আফগানিস্তান। আর চলতি বছর অনাবৃষ্টির জেরে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। আর সেই দেশগুলির কাছে প্রায় ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দেনা রয়েছে আফগানিস্তানের।
উল্লেখ্য, তালিবানের (Taliban) দখলে চলে যাওয়া আফগানিস্তানে দ্রুত ফুরিয়ে যেতে বসেছে খাদ্য ও অন্যান্য জীবনদায়ী রসদ। বিধ্বস্ত সেদেশের অর্থনীতি। এহেন পরিস্থিতিতে যুদ্ধজর্জর দেশটিতে মানবিক বিপর্যয় এড়াতে ১২০ কোটি ইউরো আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এবার শীতের মরশুমে বিদ্যুতের জোগান না থাকলে চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হবে আম জনতাকে।