সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবছরের মধ্যেই অসম থেকে তুলে নেওয়া হতে পারে বিতর্কে মোড়া সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন ‘আফস্পা’। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
সোমবার অসমের দেরগাঁও পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কমান্ডান্টদের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। ফলে এবছরের মধ্যেই রাজ্য থেকে ‘আফস্পা’ সম্পূর্ণভাবে তুলে নেওয়া হতে পারে। সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রত্যাহারের পর সেই দায়িত্ব সামলাবে অসম পুলিশ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জায়গা নেবে রাজ্য পুলিশের ব্যাটালিয়ন। তিনি বলেন, “নভেম্বরের মধ্যে পুরো অসম থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে। আমরা প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের দিয়ে আমাদের পুলিশ ফোর্সের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব।”
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন ‘আফস্পা’ (AFSPA) তোলার দাবিতে মণিপুরে ইরম শর্মিলা চানু-র অনশন আজ ইতিহাস। নাগাল্যান্ডেও এই আইন নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। সবমিলিয়ে, উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য আফস্পা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়।
[আরও পড়ুন: ফের অশান্তি মণিপুরে, ইম্ফলে সংঘর্ষের জেরে সেনাকে তলব, জারি কারফিউ]
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু-র আমলে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই অঞ্চলের জন্য ‘আফস্পা’ (১৯৫৮) আইনটি তৈরি হয়। সো সময় এনিয়ে সংসদে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। বিশিষ্ট স্বতন্ত্রবাদী নেতা ও তৎকালীন সাংসদ মিনু মাসানি সেই বিতর্কে অংশ নিয়ে নেহরুকে বলেছিলেন, “গেরিলা বাহিনী শুধুমাত্র অনুকূল রাজনৈতিক আবহাওয়ায় কাজ করতে পারে। যতক্ষণ গ্রামের লোকেরা খাদ্য সরবরাহ করে এবং গেরিলাদের আশ্রয় দেয়, ততক্ষণ তাদের সঙ্গে লড়াই করা অত্যন্ত কঠিন। তাই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, গ্রামের সাধারণ মানুষ, যারা এদিক-ওদিক নয়, তাদের মন জয় করা। জোর করে জাতিসত্তা চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। আপনাকে তাদের হৃদয় ও মন জয় করতে হবে এবং নাগাল্যান্ডে যাঁরা আমাদের পক্ষে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁরা আজ এটিই করছেন।”