shono
Advertisement

উধাও হয়ে যাওয়ার ৫ মাস পর মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে ফিরে পেলেন মা, সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া

ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে চোখের জল বাঁধ মানছে না ওই যুবকের মায়ের।
Posted: 02:23 PM Nov 09, 2020Updated: 04:32 PM Nov 09, 2020

শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: প্রায় মাস পাঁচেক আগে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক। বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও ছেলের হদিশ পায়নি পরিবার। অবশেষে অসাধ্য সাধন করল সোশ্যাল মিডিয়া। তার দৌলতেই বছর ২২-এর যুবককে ফিরে পেল মুর্শিদাবাদের সুতির রানিতলার পরিবার। ছেলেকে ফিরে পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবকের নাম সুবেল শেখ। বয়স ২২ বছর। মাস পাঁচেক আগে আচমকাই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। কোথাও হদিশ না মেলায় স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন সুবেলের বাবা অমেল শেখ ও মা মাজেরা বিবি। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। এরপর দিন কয়েক আগে সুতি থানার অন্তর্গত বাজিতপুর অঞ্চলের সাহাবাদ গ্রামে এক যুবককে ঘোরাফেরা করতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। আচরণ অস্বাভাবিক ওই যুবককে তাঁর কাছে নাম, বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞেস করা হয়। কিন্তু কোনও কিছুই বলতে পারেনি সে। অবশেষে সুতি থানার পুলিশ কর্মী মইদুল ইসলাম কিরণ ও মইম খান ওই যুবকের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) পোস্ট করেন। পাশাপাশি খবর দেন স্থানীয় থানাকেও।

[আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকায় ‘অসন্তুষ্ট’, ফের টুইটে মমতাকে খোঁচা ধনকড়ের]

এরপর সোশ্যাল মিডিয়াতেই ছেলের ছবি দেখেন অমেল শেখ। তড়িঘড়ি যোগাযোগ করেন মইদুলের সঙ্গে। সোমবার সকাল দশটা নাগাদ সুতি থানা চত্বরে দেখা করেন সকলে। সেখানেই প্রয়োজনীয় নথি খতিয়ে দেখে সুবেলকে তুলে দেওয়া হয় তাঁর পরিবারের হাতে। পাঁচমাস পর ছেলেকে ফিরে পেয়ে আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মাজেরা বিবি। তিনি বলেন, “ছেলেকে হারিয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। কত জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছি, কিন্তু পাইনি। অবশেষে আজ ছেলেকে ফেরত পেলাম। যারা আমার ছেলেকে ফেরত দিল তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করতে পারব না।” সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের মাধ্যমে পরিবারের হাতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পৌঁছে দিতে পেরে খুশি সুতি থানার পুলিশ কর্মী মইদুল ইসলাম ও এলাকার যুবক মইম খান। তাঁরা বলেন, “আজ আমার জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন। কারণ, আমরা পরিবারের হাতে তাঁদের ছেলেকে তুলে দিতে পেরেছি। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এক মার কোলে তাঁর সন্তানকে ফিরিয়ে দিয়ে মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি।”

[আরও পড়ুন: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই পরপর ৬টি কারখানা, দীপাবলির মুখে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার