শেখর চন্দ, আসানসোল: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) গ্রেপ্তারির ৫৭ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ সিবিআইয়ের। সূত্র মারফত খবর, ৩৫ পাতার চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলকে ‘মূল পৃষ্ঠপোষক’ বলে দাবি করা হয়েছে। দেহরক্ষী সায়গলের মাধ্যমেই নাকি চলত গরুপাচারের (Cattle Smuggling) কোটি কোটি টাকা লেনদেন। এদিন আদালতে অনুব্রতকে জেল হেফাজতে রেখেই বিচার প্রক্রিয়া চালানোর আবেদন জানিয়েছে সিবিআই।
১১ আগস্ট গরুপাচার মামলায় বোলপুরের (Bolpur) নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তাঁকে গ্রেপ্তারির ৫৭ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করল সিবিআই (CBI)। তবে গরুপাচার কাণ্ডে এটা চতুর্থ চার্জশিট। সূত্রের খবর, এই চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলকে ‘মূল পৃষ্ঠপোষক’ বলে দাবি করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন আইনে পেশ করা এই চার্জশিটে অনুব্রতর ৫৩টি সম্পত্তির দলিল, ১৮ কোটির ফিক্সড ডিপোজিট-সহ একাধিক তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, দেহরক্ষী সায়গলের মাধ্যমেই চলত গরুপাচারের কোটি কোটি টাকা লেনদেন। পাচারকারীদের প্রোটেকশান দিতেন কেষ্ট! এদিন আদালতে অনুব্রতকে জেল হেফাজতে রেখেই বিচার প্রক্রিয়া চালানোর আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। তাঁদের কথায়, অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী, ফলে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া তদন্তের জন্য সমস্যার হতে পারে।
[আরও পড়ুন: বিসর্জনে মাইক বাজানো নিয়ে বচসা, নদিয়ায় যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ]
জানা গিয়েছে, সায়গলল হোসেনের বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা করা হয়েছিল, অনুব্রত মণ্ডলের চার্জশিটেও একই ধারার উল্লেখ রয়েছে। এদিকে শুক্রবার সায়গল হোসেনকে জেরা করতে ইডির ছয়জনের দল আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে যায়। সকাল ১০ টা ১৫ নাগাদ তাঁরা সংশোধনাগারে পৌঁছন। ল্যাপটপ, ভিডিও ক্যামেরা-সহ তিনজন ভিতরে ঢোকেন। যেভাবে আদালতের কাছে অনুমতি নেওয়া হয়েছে ঠিক সেভাবেই ইডি আধিকারিকরা আসেন। ৩৫ টি প্রশ্নমালা সাজানো হয়েছে সায়গলের জন্য, এমনটাই খবর।