রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর (Amitava Chakraborty) বিরুদ্ধে ফের পোস্টার। বনগাঁ লোকালের পর এবার কলকাতার একাধিক জায়গায় তাঁর বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে ক্রমশ প্রকট হচ্ছে, তা এদিনের পোস্টারেই স্পষ্ট বলেই মত বিরোধীদের। যদিও গেরুয়া শিবির সেকথা মানতে নারাজ। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছিঁড়েও ফেলা হয় পোস্টারগুলি।
সোমবার সকালে কলকাতার একাধিক জায়গায় অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পোস্টারগুলি দেখা যায়। বিজেপির (BJP) রাজ্য দপ্তর, শ্যামবাজার এবং সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ পোস্টারে ভরে যায়। পোস্টারে লেখা, “পিকে’র টিমের দালাল অমিতাভ চক্রবর্তী হটাও। বিজেপি বাঁচাও।” পোস্টারের একেবারে নিচে লেখা, সারা রাজ্যের বিজেপি বাঁচাও কর্মী এক হও। উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি বনগাঁ লোকালেও অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর পোস্টার দেখা যায়। বিরোধীদের দাবি, এই পোস্টারটি যে গেরুয়া শিবিরের একাংশই দিয়েছে, সে বিষয়ে আর সন্দেহের কোনও জায়গাই নেই।
[আরও পড়ুন: COVID-19 Update: দেশে করোনা সংক্রমণ সামান্য নিম্নমুখী, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মৃত্যুর উচ্চ হার]
বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতির নামের তালিকা প্রকাশের পর থেকে বঙ্গ বিজেপির অন্তর্কলহ ক্রমশ প্রকাশ্যে এসেছে। সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে মতুয়াদের এবং অভিজ্ঞদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার। আর সেই অভিযোগে বনগাঁর ৫ বিধায়ক এবং সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও (Shantanu Thakur) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন। শনিবার পোর্ট গেস্ট হাউসে বৈঠকের পরও মতুয়াদের বঞ্চনার অভিযোগে সুর চড়িয়েছিলেন শান্তনু। সংগঠনের ‘একজন’ দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন বলে প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ। নাম উল্লেখ না করলেও রাজনৈতিক মহলের ওই ‘একজন’কে বুঝতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। অনেকেরই দাবি, শান্তনু আদতে অমিতাভ চক্রবর্তীর কথাই বলেছেন।
শান্তনুর দাবির মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই এহেন পোস্টার যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যদিও গেরুয়া শিবির, অন্তর্কলহের তত্ত্ব এখনও মানতে নারাজ। ওই পোস্টারগুলি কিছুক্ষণের মধ্যেই ছিঁড়ে ফেলা হয়। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি গোষ্ঠীকোন্দল ধামাচাপা দিতে এই পদক্ষেপ? তবে সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে পদ্মশিবির।