shono
Advertisement

সেন্সর থেকে বেরিয়েই ‘রগরগে’ ছবির প্রেজেন্টর পহেলাজ

এ কি ভোলবদল? নাকি ঘরে ফেরা?
Posted: 06:54 PM Sep 03, 2017Updated: 01:24 PM Sep 03, 2017

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর সংস্কারি কাঁচির জ্বালায় নাজেহাল ছিল সিনেদুনিয়া। সেন্সর বোর্ডের প্রধান পদে যতদিন বহাল ছিলেন, ততদিন কাটাকাটির ক্ষতে ভরেছে একাধিক সিনেমার শরীর। কখনও তাঁর মনে হয়েছে ‘ইন্টারকোর্স’ বড়ই অশ্লীল। কখনও আবার সিনেমায় চুমু এলেই তিনি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন। শেষমেশ অবশ্য তাঁর গ্রাস থেকে পরিচালক-প্রযোজকদের মুক্তি ঘটেছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির হস্তক্ষেপে সেন্সর বোর্ড থেকে অপসারিত হয়েছেন পহেলাজ নিহালানি। আর তারপরই ইরোটিক ছবি ‘জুলি ২’-র প্রেজেন্টর হলেন তিনি।

Advertisement

[ জানেন, প্রসেনজিতের বতর্মান বান্ধবী টলিউডের কোন স্টার? ]

২০১৫ থেকে সেন্সরের দায়িত্ব নিয়েছিলেন নিহালানি। তারপর থেকে একের পর এক বিতর্ক। ‘উড়তা পাঞ্জাব’ পর্বে তো জল গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। তাতেও অবশ্য ক্ষান্ত হননি পহেলাজ। একের পর এক ছবিতে আপত্তি জানিয়েছেন। ইচ্ছেমতো কাটাকুটি করেছেন। এমনকী ‘বাবুমশাই বন্দুকবাজ’ ছবিটিতে চল্লিশটিরও বেশি কাটের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ করারও অভিযোগ উঠেছে। বিশেষত অমর্ত্য সেনকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রে হিন্দু ও গরু শব্দ নিয়ে যখন আপত্তি তোলে সেন্সর, তখন দেশের বুদ্ধিজীবী মহলও সরব হয়। বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ ওঠে। একাধিক বিতর্কের জেরেই পহেলাজের অপসারণ। আর তারপরই স্বরূপে ফিরলেন তিনি।

বিকিনি পরা ছবিতে নেটদুনিয়ায় ঝড় তুললেন এই অভিনেত্রী ]

এর আগেও তিনি একাধিক ছবি পরিচালনা করেছেন, যেগুলি মানুষ মনে রাখেননি। কিন্তু ছবির ভিতর উত্তেজক বেশ কিছু দৃশ্য যেগুলি আজও নেটদুনিয়ায় ঘুরে বেড়ায়। পহেলাজ যখন সংস্কারি কাঁচি উঁচিয়ে রাজত্ব চালাচ্ছিলেন, তখন অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন যে, নিজের অতীত কি ভুলে গেলেন নিহালানি? দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির পর অবশ্য স্বমেজাজে স্বস্থানে ফিরেছেন। এবার ‘জুলি ২’ ছবির প্রেজেন্টর হিসেবে দেখা যাবে তাঁকে।

নেহা ধুপিয়া অভিনীত ২০০৪-এর ছবি ‘জুলি’র সিকুয়েল এটি। ছবির পোস্টার ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে। যেখানে অভিনেত্রী রাই লক্ষ্মীকে পৃষ্ঠদেশ অনাবৃত অবস্থায় দেখা গিয়েছে। সাদা কাপড়ের স্বচ্ছ বাসের ওপারে তাঁর শরীরী আবেদন গোপন থাকেনি। যদিও পোস্টার নান্দনিক, তবু এ ছবি যে সাহসী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষত সেন্সর প্রধান হিসেবে পহেলাজের মনোভাবের একেবারে বিপরীত মেরুর ছবি বলা যায় এটিকে। সেই ছবির নিবেদক হলেন তিনি। শুধু তাই নয়, সূত্রের খবর, ছবিটির বিশ্বব্যাপী ডিস্ট্রিবিউটরের ভূমিকাতেও দেখা যাবে তাঁকে। ছবির ট্রেলার মুক্তির সময়ও পাশেই থাকবেন নিহালানি। এ কি ভোলবদল?  নাকি ঘরে ফেরা? নিহালানির এই ভূমিকা নিয়ে এখন এই প্রশ্নেই এখন চাপা হাসি সিনেদুনিয়ার অন্দরে।

OMG! কেন এমন অবতারে অক্ষয়? ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement