সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিম্ন আদালতের বিচারকরা তাঁদের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তবুও CBI সহযোগিতা করেনি। এমনই মন্তব্য করেছিল শীর্ষ আদালত। এরপরই তৎপর হয়ে উঠে রবিবার দু’জনকে গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সব মিলিয়ে এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে? অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে ‘অবমাননাকর পোস্ট’ করেছেন তাঁরা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আদালতের রায় তাঁদের বিরুদ্ধে যাওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচার ব্যবস্থা ও বিচারকদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর পোস্টগুলি করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। এই কাণ্ডের সঙ্গে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সাংসদের জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছে। সব মিলিয়ে অভিযুক্ত ১৬। গত ৯ জুলাই এই মামলায় প্রথমে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রবিবার দু’জনের গ্রেপ্তারির ফলে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তারির মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৫।
[আরও পড়ুন: সাধারণতন্ত্র দিবসের কৃষক বিক্ষোভ থেকে শিক্ষা, ১৫ আগস্টের আগে ঘেরা হচ্ছে Red Fort]
যে ১৬ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৩ জনের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। বাকি তিনজন এই মুহূর্তে বিদেশে রয়েছেন। গত বছরের নভেম্বরে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সকলকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
গত শুক্রবারই প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) এনভি রামানা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন। ঝাড়খণ্ডের বিচারক খুনের মামলার শুনানিতে তিনি বলেন, ”প্রভাবশালীদের মামলায় ক্রমাগত হেনস্তা করা হয় বিচারকদের। কিন্তু সিবিআই কিছুই করেনি। আমরা আশা করি সিবিআইয়ের আচরণে কিছু পরিবর্তন আসুক। কিন্তু তা আসেনি। দুঃখের সঙ্গে বলছি এটাই বাস্তব পরিস্থিতি। তদন্তকারী সংস্থাগুলি একেবারেই সাহায্য করে না, একথা আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি।”
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এমন মন্তব্যের পরই কার্যত নড়েচড়ে বসে এই পদক্ষেপ করতে দেখা গেল সিবিআইকে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট করেছেন।