সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে পেরিয়ে গিয়েছে এক বছর। ২০২০ সালের ১৫ জুন রাতে গালওয়ান উপত্যকায় চিনা (China) আগ্রাসনের মুখোমুখি হয়েছিল ভারতীয় সেনারা (Galwan Clash)। অতর্কিতে চালানো চিনের সেই কাপুরুষোচিত হামলায় শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। কিন্তু পালটা মারে রক্তাক্ত হয় লালফৌজও। তারপরই লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনার অবস্থান বদল করেছে চিন। পাহাড়ি এলাকায় নিজের সৈনিকদের সীমিত প্রশিক্ষণের বিষয়টি বুঝতে পেরেছে তারা। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat)।
[আরও পড়ুন: গালওয়ানে সেনামৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে বলেছে চিন! অভিযোগ তোলায় গ্রেপ্তার বেজিংয়ের তিন ব্লগার]
মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ রাওয়াত বলেন, “সীমান্তে সেনার অবস্থান বদল করেছে চিন। বিশেষ করে ২০২০ সালের মে ও জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হওয়া সংঘর্ষের পর ফৌজ মোতায়েনের পদ্ধতিতে রদবদল করেছে তারা। চিন বুঝতে পেরেছে যে পাহাড়ি এলাকায় লড়াইয়ের জন্য তাদের সৈনিকদের প্রশিক্ষণ পর্যাপ্ত নয়।” এই বিষয়ে সেনা সর্বাধিনায়ক রাওয়াত আরও বলেন, “তিব্বতের পাহাড়ি এলাকায় লড়াই করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। আর পার্বত্য এলাকায় যুদ্ধ করতে আমাদের জওয়ানরা পারদর্শী। তাদের দীর্ঘ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেখানে লাগাতার আমাদের ফৌজ টহল দেয়। কিন্তু চিনের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। মূলত, সমতল এলাকা থেকে চিনের সৈনিকরা আসে। লাদাখের মতো পাহাড়ি জায়গায় স্বল্প সময়ের জন্য মোতায়েন করা হয় তাদের। এসব অঞ্চলে লড়াই করার মতো বিশেষ কোনও অভিজ্ঞতাও তাদের নেই। তবে সীমান্তে চিনা গতিবিধির উপর আমরা কড়া নজর রাখছি।”
উল্লেখ্য, গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের একবছর পরেও পূর্ব লাদাখের সীমান্তে কড়া প্রহরায় রয়েছে ভারতীয় সেনা। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গত বছর লাদাখে লালফৌজের অতর্কিতে হামলার পর থেকেই ওই সব অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা। কেবল স্থলপথেই নয় আকাপথেও রয়েছে কড়া নজরদারি। রাফালে, মিগ-২৯ ও সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান নিয়মিত উত্তরাঞ্চলের ওই এলাকার সীমানায় আকাশপথে টহল দিচ্ছে। সবদিক থেকেই লালফৌজের পরবর্তী যে কোনও রকমের হামলার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।