সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিতর্কে সুনন্দা পুষ্কর হত্যায় অভিযুক্ত শশী থারুর। বিজেপি বিরোধিতায় এবার ‘হিন্দু তালিবান’ তত্ত্ব পেশ করলেন এই কংগ্রেস নেতা। বুধবার সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে থারুরের এহেন মন্তব্যে ফের তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
[ফের ‘পকড়বা শাদি’! মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসানো হল ইঞ্জিনিয়ারকে]
সম্প্রতি, ২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে দেশ ‘হিন্দু পাকিস্তান’ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন শশী থারুর। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। ফের বিতর্কিত মন্তব্যে শিরোনামে তিনি। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়ে বারবার ‘উগ্র হিন্দুত্ববাদ’ নিয়ে মুখ খুলেছেন এই কংগ্রেস সাংসদ। এবার কেরলে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমাকে পাকিস্তান যেতে বলছে। আমার ধর্ম ঠিক করার অধিকার তাঁদের কে দিয়েছে? এবার কি তালিবান শাসন চালাবে তাঁরা?” এই লোকসভা সাংসদ আরও বলেন, “বিজেপির হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা অত্যন্ত মারাত্মক। এই পথে এগোলে দেশ ধ্বংসের মুখে পড়বে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতলে সংকটের মুখে পড়বে সংবিধান।”
থারুরের এহেন বয়ানে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তরজা। রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ থারুরের বয়ানে এখনও মুখ খোলেনি দল। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের এহেন মন্তব্য থেকে দূরে রাখতে চাইছেন কংগ্রেস নেতারা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, আসন্ন নির্বাচনে ধর্মকে হাতিয়ার করেছে শাসক-বিরোধী দু’পক্ষই। একদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠদের মন পেতে ‘রাম নাম’, তো অপরদিকে সংখ্যালঘুদের আস্থা জয় করতে ‘মাজারে চাদর’। ধর্মীয় ভাবাবেগকে ভোট পরিণত করতে চেষ্টার ত্রুটি নেই কারও। এমনই পরিস্থিতিতে থারুরের মন্তব্য কিছুটা হলেও বিজেপির পক্ষে লাভজনক হতে পারে।
প্রসঙ্গত, রাহুল শিবিরের লোক হিসেবেই পরিচিত থারুর। গুজরাট নির্বাচনের আগে সে রাজ্যের একাধিক মন্দিরে হাজির হয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সম্প্রতি একাধিক মুসলিম নেতাদের সঙ্গে ‘গোপন’ বৈঠকে বসেন তিনি। উর্দু সংবাদপত্র ‘ইনক্লাব’-এর একটি প্রতিবেদনের মতে সেখানে নাকি কংগ্রেসকে মুসলিমদের দল বলেই উল্লেখ করেন রাহুল। এমন পরিস্থিতিতে ফের থারুরের ‘হিন্দু তালিবান’ বয়ানে কিছুটা হলেও মাইলেজ আদায় করে নিতে পারে গেরুয়া শিবির।
[ক্যাম্পাসে মহিলাদের স্কার্ফ পরায় নিষেধাজ্ঞা, বিতর্কে মীরাটের বিশ্ববিদ্যালয়]
The post ‘হিন্দু পাকিস্তানের’ পর ‘হিন্দু তালিবান’, বিতর্ক উসকে ফের শিরোনামে শশী appeared first on Sangbad Pratidin.