shono
Advertisement

‘কাউকে পরিবার নিয়ন্ত্রণে বাধ্য করা সম্ভব নয়’, সুপ্রিম কোর্টে তাৎপর্যপূর্ণ হলফনামা কেন্দ্রের

এখনই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন নয়, ইঙ্গিত মোদি সরকারের।
Posted: 10:10 AM Dec 13, 2020Updated: 10:10 AM Dec 13, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৭০ ধারা বাতিল হয়েছে, রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হয়েছে। বিজেপি সমর্থক তথা উগ্র দক্ষিণপন্থীরা এবার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের অপেক্ষায়। কিন্তু কেন্দ্র ইঙ্গিত দিল, এখনই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও দম্পতিকে বাধ্য করার পক্ষে তারা নয়। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দাখিল এক হলফনামায় কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, ভারতে পরিবার পরিকল্পনা সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক। আর এখনই তা পরিবর্তন করতে চায় না কেন্দ্র।

Advertisement

আসলে বিজেপিরই (BJP) এক আইনজীবী নেতা অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় কিছুদিন আগে দিল্লি হাই কোর্টে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মাবলী বেঁধে দেওয়ার দাবিতে একটি আরজি দাখিল করেন। তাঁর অনুরোধ ছিল, আদালত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে দুই সন্তান নীতির মতো নির্দেশিকা বেঁধে দিক। কিন্তু দিল্লি হাই কোর্ট ওই বিজেপি নেতার আবেদন খারিজ করে দেয়। তাতে দমে না গিয়ে অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় এবার আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টে। তাঁর করা আবেদনের ভিত্তিতেই কেন্দ্রের মত জানতে চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। গত ৭ ডিসেম্বর নিজেদের মত জানিয়ে আদালতে একটি হলফনামা দাখিল করেছে মোদি সরকার

[আরও পড়ুন: কেরলে করোনার ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের]

কেন্দ্রের হলফানামায় বলা হয়েছে,”ভারতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের (Population Control) বিষয়টি পুরোপুরি ঐচ্ছিক। যা কিনা প্রত্যেক দম্পতিকে অধিকার দেয়, তাঁদের পছন্দ মতো পরিবারের সদস্য সংখ্যা এবং পরিবার নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি বেছে নেওয়ার। এটা সম্পূর্ণই তাঁদের উপর নির্ভর করে, এবং কাউকেই বাধ্য করা হয় না। আর কেন্দ্র পরিবার নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মাবলী চাপিয়ে দেওয়ার বিপক্ষে।” ওই হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, “গোটা বিশ্বের ইতিহাস বলছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন আনলে, তাতে আসলে হীতে বিপরীত হয়।” তাছাড়া, এই মুহূর্তে ভারতের জন্মহার ক্রমশ নিম্নমুখী বলেও জানিয়েছে সরকার।

[আরও পড়ুন: একদিনে এক ক্যাম্পে ভ্যাকসিন পাবেন ১০০ জন, টিকাকরণের গাইডলাইনস দিল কেন্দ্র]

সুপ্রিম কোর্টে এই হলফনামার অর্থ হল, এখনই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন কেন্দ্র আনতে চাইছে না। গেরুয়া শিবিরের একাংশের দাবি মেনে দুই সন্তান নীতিও এখনই কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদিও, অসমের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্য নিজেদের মতো করে আগামী বছর থেকেই ধীরে ধীরে দুই সন্তান নীতির দিকে এগোনো শুরু করছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement