সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাখির চোখ বাংলার বিধানসভা নির্বাচন (WB Assembly polls)। রাজ্যের ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে ‘পরিবর্তন যাত্রা’র সূচনা করতে আসছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। শনিবার সকালেই তাঁর মালদহ যাওয়ার কথা। সেখানে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। কিন্তু নাড্ডার সফরের আগেই রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল মালদহে। শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে কাঠগড়ায় তৃণমূল যুব কংগ্রেস। এ নিয়ে সকাল থেকে থমথমে মালদহ। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির সফরের আগে আরও বেড়েছে নিরাপত্তা।
জানা গিয়েছে, নাড্ডার সফরের প্রস্তুতি হিসেবে ইংরেজবাজার এলাকায় বেশ কিছু ফ্লেক্স, হোর্ডিং, ব্যানার লাগানো হয়েছিল। শুক্রবার গভীর রাতে কেউ বা কারা সেসব ছিঁড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। দেখা গিয়েছে, সেখানে যুব তৃণমূলের ফ্লেক্স টাঙানো। নাড্ডার ফ্লেক্স ছিঁড়ে যুব তৃণমূলের ফ্লেক্স লাগানোর অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সকালেও এ নিয়ে জারি রয়েছে চাপা উত্তেজনা। গত ডিসেম্বরে রাজ্যে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির সফরে হামলার ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। ডায়মন্ড হারবারে সভা করতে যাওয়ার পথে তাঁর কনভয়ে হামলা চলে বলে অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে বেশ সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজ্য সফরে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নাড্ডার সফর ঘিরেও রয়েছে আঁটসাঁট নিরাপত্তা বলয়। তা সত্ত্বেও আগেরদিন রাতের এই ঘটনা স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আরও কড়া হয়েছে নিরাপত্তাবেষ্টনী। ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভরসা ‘স্বাস্থ্যসাথী’, হাসপাতালে বিনামূল্যেই কেমোথেরাপি করালেন ক্যানসার রোগী]
শুক্রবার রাতেই রাজ্যে পৌঁছেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। দমদম বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান কৈলাস বিজয়বর্গীয়,দিলীপ ঘোষরা।
রাতে হোটেল ওয়েস্টিনে ছিলেন তিনি। সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত বঙ্গ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নাড্ডার আলোচনা হয় বলে খবর। বৈঠকে ছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শনিবার সকাল ৯টা ১০ নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে নাড্ডা রওনা দেবেন মালদহের উদ্দেশে। সেখানে পৌঁছনোর পর ১১টা নাগাদ মালদহের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট ফর সাবট্রপিক্যাল হর্টিকালচারে যাওয়ার কথা তাঁর। মিনিট ২০ সেখানে থাকবেন নাড্ডা।
[আরও পড়ুন: ক্রমশই দুর্বল হচ্ছে করোনার কামড়, রাজ্যে অনেকটা কমল দৈনিক মৃত্যুর হার]
এরপর সাড়ে এগারোটা নাগাদ যাবেন সাহাপুর গ্রামে। স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথাবার্তার পর কৃষক সুরক্ষা সহভোজে অংশ নেবেন। এবার আর কারও বাড়ি নয়। কৃষকদের সঙ্গে গ্রামের মাঠে বসে খিচুড়ি খাবেন নাড্ডা। এদিকে, নাড্ডার এই কৃষকবান্ধব কর্মসূচূির বিরোধিতায় নামছে জেলা তৃণমূল। জানা গিয়েছে, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির সফর চলাকালীন আন্দোলন চালাবেন মৌসম বেনজির নূর, কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর মতো নেতারা।