সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে মহিলা ফুটবল লিগ (IWL) চালু হয়েছিল বেশ কিছু বছর আগে। গত বছর থেকে চালু হয়েছে মহিলা ফুটবল লিগ ২ (IWL 2)। তার পর থেকে ভারতে মহিলা ফুটবলার রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক উত্থান লক্ষ্য করা গিয়েছে। গত দুবছরে দেশে নথিভুক্ত মহিলা ফুটবলার সংখ্যা লাফ দিয়ে ১৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবের (Kalyan Chaubey) মতে মহিলা ফুটবল লিগ ২ চালু হওয়ার ফলেই এই ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ভারতে নথিভুক্ত মহিলা ফুটবলার সংখ্যা ছিল ১১,৭২৪। এবছরের মার্চ মাসে সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ২৭,৯৩৬। যা দেশে খেলাধুলোর জনপ্রিয়তায় স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধির পাশাপাশি পেশাদার ভাবে ফুটবল বেছে নেওয়া তরুণ মহিলা ক্রীড়াবিদদের বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। ফেডারেশনের মতে, বর্তমান ম্যানেজমেন্টের উদ্যোগে দেশের নারীর ফুটবলার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করেছে।
[আরও পড়ুন: আইপিএলে স্বপ্নের ফর্ম, কিন্তু বিশ্বকাপে সুযোগ পাবেন না তরুণ তুর্কিরা! কেন এই সিদ্ধান্ত?]
এই ঐতিহাসিক সাফল্য নিয়ে কল্যাণ চৌবে জানান, "এটি একটি ইতিবাচক প্রবণতা। আমাদের ফুটবল সিস্টেমে ১৬,২১২ নতুন মহিলা খেলোয়াড় নথিভুক্ত হওয়া একটি উৎসাহজনক লক্ষণ। যা প্রমাণ করে, আমরা মহিলা ফুটবলারদের জন্য সঠিক পরিকল্পনা ধরে এগোচ্ছি।" ভারতে এই মুহূর্তে মহিলাদের ২২টি রাজ্যস্তরের লিগ চালু রয়েছে। চলতি মহিলা ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওড়িশা এফসি। এবছর থেকেই চালু হয়েছে 'হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে' পদ্ধতি।
[আরও পড়ুন: ‘আমরা ধনী, গরিব দেশে খেলতে যাই না’, গিলক্রিস্টকে ব্যঙ্গ শেহওয়াগের]
ফেডারেশন সভাপতি আরও বলেন, "গত ১৬-১৮ মাসে আমরা কিছু ছোট ছোট পদক্ষেপ নিয়েছি। চলতি মরশুম ভারতীয় মহিলা ফুটবলের জন্য দারুণ একটা বছর। ঘরোয়া পর্যায়ে ম্যাচের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্লাবগুলি আরও ম্যাচ খেলতে পারছে। আগামী বছরগুলিতে মহিলা ফুটবলকে আরও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।" এবছর মহিলা ফুটবল লিগ ২-এর গ্রুপ পর্যায়ে ১৫টি ক্লাব অংশগ্রহণ করেছিল। যার মধ্যে ছটি ক্লাব ফাইনাল রাউন্ডে উঠেছে। মে মাসে কলকাতায় তারা পরবর্তী রাউন্ডের জন্য প্রতিযোগিতায় নামবে। যার মধ্যে বাংলা থেকে আছে শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাব।