সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকের (Karnataka) রাজ্যপালের কাছে বিমানের টিকিট ছিল। তা সত্ত্বেও রাজ্যের প্রথম নাগরিককে ফেলেই উড়ে গেল এয়ার এশিয়ার (Air Asia) বিমান। জানা গিয়েছে, কর্ণাটকের রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাঁর জিনিসপত্রও তোলা হয়েছিল বিমানে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গেহলট জানতে পারেন, তাঁকে ছাড়াই উড়ে গিয়েছে বিমান। শেষ পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করার পর পরের বিমানে রওনা দেন তিনি।
ঠিক কী ঘটেছে? সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবর, বেঙ্গালুরু থেকে হায়দরাবাদে যাওয়ার কথা ছিল কর্ণাটকের রাজ্যপালের। বৃহস্পতিবার দুপুরে কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দর থেকে এয়ার এশিয়ার বিমান ধরতে পৌঁছন তিনি। রাজ্যপাল পৌঁছনোর আগেই বিমানবন্দরে চলে এসেছিল তাঁর জিনিসপত্র। সেগুলি বিমানে তুলেও দেওয়া হয়। কিন্তু ভিআইপি লাউঞ্জে পৌঁছনোর পর রাজ্যপাল জানতে পারেন, আগেই হায়দরাবাদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বিমান।
[আরও পড়ুন: ‘ঠিক যেমনটা আমরা চেয়েছিলাম, আপনি তেমনটাই করছেন’, মোদিকে নয়া তির তৃণমূলের]
হায়দরাবাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন গেহলট। কিন্তু বিমান বিভ্রাটের জেরে সেই অনুষ্ঠানও পিছিয়ে দিতে হয়। প্রায় ৯০ মিনিটের জন্য বিমানবন্দরেই ঠায় অপেক্ষা করতে হয় কর্ণাটকের রাজ্যপালকে। পরের বিমান ধরে তিনি হায়দরাবাদ পৌঁছন। গোটা ঘটনায় রাজ্যপালের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। এই ঘটনার জেরে এয়ারপোর্ট থানায় তাঁরা অভিযোগও দায়ের করেছেন বলে সূত্রের খবর।
কেন রাজ্যপালকে ছাড়াই উড়ে গেল বিমান? সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের বেশ খানিকটা পরে বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন গেহলট। তাই প্রথা মাফিক তাঁকে বিমানে ওঠার অনুমতি দেয়নি সংস্থার কর্মীরা। দেরি হওয়া সত্ত্বেও বিমানে উঠতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যপাল বিবাদে জড়িয়েছেন বলেও শোনা যায়। তবে এই প্রসঙ্গে উড়ান সংস্থার তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। রাজ্যপালের আধিকারিকরাও মুখে কুলুপ এঁটেছেন।