কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: নিউটাউনে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় চালক ও তাঁর পাশের জনের রক্ষা পাওয়ার পিছনে সিটবেল্ট ও এয়ারব্যাগের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে পুলিশের ফরেনসিক টিমের অনুমান। এই দুটি বস্তুর কারণেই বেঁচে গিয়েছেন চালক মোহিত জৈন (২১) ও সর্বজিৎ সিং (১৭)। আর পিছনে বসে থাকা নিশীথ জয়সওয়াল (১৭), মায়াঙ্ক (২১) ও কৌশল ঝাওয়ারের (১৭) মৃত্যু হয়েছে ধাক্কার তীব্রতায়। তদন্তে উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
গাড়ির পিছনের আসনের মধ্যিখানে বসেছিলেন মায়াঙ্ক, তাঁর বাঁদিকে কৌশল আর ডানদিকের আসনে নিশীথ। দুর্ঘটনার অভিঘাতে বাঁদিক থেকে দরজা ভেঙে গাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন কৌশল। হোন্ডা সিটি গাড়িটির ফরেনসিক পরীক্ষা হয়েছে। আশঙ্কা, গাড়িটির বডি কন্ট্রোল ইউনিট সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। শর্ট সার্কিটের ফলে এটি ঘটেছে। ফলে ইলেকট্রিক সংযোগকারী লাইন সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। এই তথ্য না পাওয়া গেলে বোঝা যাবে না কতটা গতিতে গাড়িটি ছুটছিল বা ইউ টার্ন নেওয়ার সময় তার গতিবেগ কত ছিল। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর প্রথম ১০মিনিট গাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে। তারপর তা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেই কেটে যায়। এক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। ফলে দুর্ঘটনার তথ্য মেলা কষ্টকর। গাড়ির বডি কন্ট্রোল ইউনিট এখন যে অবস্থায় রয়েছে তাতে সেটিকে অবিলম্বে পাল্টে ফেলতে হবে। তবে হোন্ডা সংস্থার কর্মচারীরা পরীক্ষা করার পর জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার তীব্রতায় ইউনিটটি চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় হাতে পেয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটিতে যে এয়ারব্যাগ ছিল সেটি পরবর্তীকালে লাগানো হয়েছিল। তবে ইন বিল্ট ব্যাগ না হলেও দু’জন আরোহীর প্রাণ রক্ষা করেছে এই এয়ারব্যাগ।
প্রসঙ্গত, এদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নিউটাউনের ইকো পার্কের এক নম্বর গেটের কাছে ঘটে দুর্ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি গাড়ি নারকেলবাগানের দিক থেকে কলকাতা বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল। গাড়ির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের চেয়েও বেশি। সেই সময় ইউ টার্ন নিতে গিয়ে নির্মীণমান মেট্রোর পিলারে সজোরে ধাক্কা মারে গাড়িটি। সেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তিনজনের।
[আরও পড়ুন: ছুটির দিনেও নবান্নে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক, বুলবুল বিপর্যয়ের মোকাবিলায় আলোচনা]
The post এয়ারব্যাগেই বাঁচল জীবন, নিউটাউন দুর্ঘটনায় প্রকাশ্যে নয়া তথ্য appeared first on Sangbad Pratidin.