সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছেন সমাজবাদী পার্টির (SP) সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে নেমে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন। ইডি-সিবিআইয়ের ‘অতিসক্রিয়তা’, বিরোধীদের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের মনোভাব, আচরণের সমালোচনা করলেন অখিলেশ (Akhilesh Yadav)। বাংলায় নেতা-মন্ত্রীদের জেল হেফাজত নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ”বাংলায় তবু কম নেতা জেলে রয়েছেন। যেখানেই বিরোধী, সেখানেই ইডি-সিবিআই-আয়কর দপ্তরকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাচ্ছে কেন্দ্র। বিজেপি নিজেরা যাদের ভয় পাচ্ছে, তাদেরই এভাবে জেলে ঢোকাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে তো সমাজবাদী পার্টির বহু নেতাকেই মিথ্যে মামলায় জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে।”
শনি ও রবিবার সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সম্মেলন। সেই উপলক্ষে শুক্রবার দলের সকলে এসে হাজির হয়েছেন। এদিন বিকেলেই কালীঘাটে যাবেন অখিলেশ যাদব। ৫টা নাগাদ তাঁর সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সাক্ষাতের সম্ভাবনা। বিরোধী শিবিরের দুই নেতানেত্রীর এই বৈঠক নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষত কংগ্রেস ও বিজেপির থেকে সমদূরত্ব বজায় রেখে নিজেদের মতো করে কেন্দ্রবিরোধী লড়াই চালিয়ে যাওয়া নিয়ে মমতা ও অখিলেশ একমত। সেদিক থেকে এদিন দু’পক্ষের আলোচনায় লড়াইয়ের রণকৌশল নিয়ে কথা হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
[আরও পড়ুন: বাম জমানায় চিরকুটে চাকরি পেয়েছেন কারা? তালিকা তৈরির নির্দেশ ব্রাত্যর]
তবে কি মমতার সঙ্গে বৈঠকে বিরোধী জোটের সলতে পাকানো হবে? এই প্রশ্নের জবাবে অখিলেশ বলেন, ”মমতাদিদির সঙ্গে দেখা তো করবই, কথাও বলব। কী নিয়ে কথা হবে তা তো এখনই বলতে পারছি না।” জোট হলে তার মুখ কে হবেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে অখিলেশের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ”সবাই মুখ।” এরপর তিনি আরও বলেন, ”আমাদের লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে। যে ভাবেই হোক বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে এবং মানুষকে সঙ্গে নিয়েই তা করতে হবে। আলাদা করে কোনও দলের কথা ভাবা হচ্ছে না। মানুষই লড়াই করবেন।”