সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার বুলডোজার নীতির কড়া সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়েছে, অভিযুক্ত হোক কিংবা দোষী বুলডোজার দিয়ে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া যায় না। বলা বাহুল্য, বুলডোজার নীতির জন্ম উত্তরপ্রদেশে। ফলে এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে তোপ দাগতে দেরি করেননি সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব। সোমবার তিনি বলেন, "২০২৭ সালের বিধানসভা ভোটের পরে সমস্ত বুলডোজ়ারের মুখ গোরক্ষপুরের দিকে ঘুরে যাবে।" পালটা জবাব দিয়েছেন যোগীও। কী বলেছেন তিনি?
এদিন অখিলেশ নিজের দপ্তরে যোগীকে কটাক্ষ করে বলেন, "মুখ্য়মন্ত্রীর নিজের বাড়ির অনুমোদন আছে তো? ব্যক্তিগত স্বার্থে অপব্যবহার করেছেন বুলডোজারের। মনে রাখতে হবে যে বুলডোজের কোনও মস্তিষ্ক নেই, কেবল একটি সিয়ারিং হুইল রয়েছে।" এর পরই কটাক্ষের সুরে সমাজবাদী পার্টি প্রধান বলেন, "২০২৭ সালের বিধানসভা ভোটের পরে সমস্ত বুলডোজ়ারের মুখ গোরক্ষপুরের দিকে ঘুরে যাবে।" উল্লেখ্য, পূর্ব উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরই মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের ‘রাজনৈতিক গড়’। সেখানকার গোরক্ষনাথের মঠের মোহন্ত তিনি।
[আরও পড়ুন: বক্তব্য শোনা হয়নি হাই কোর্টে, এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সন্দীপ]
অখিলেশের কটাক্ষের জবাব দিতে দেরি করেননি যোগী। তিনি এদিন বলেন, "সকলে ঠিক মতো বুলডোজ়ার চালাতে পারে না, এর জন্য মস্তিষ্ক এবং সাহসের প্রয়োজন হয়। যারা দাঙ্গাবাজদের সামনে মাথা নত করে তারা বুলডোজারের সামনে দাঁড়াতে পারে না।" অখিলেশের ডাক নাম তুলে যোগী আরও বলেন, 'টিপু'র সুলতান হওয়ার দিবাস্বপ্ন সফল হবে না।
[আরও পড়ুন: ১৫-১৬ মাসেও ফেরেনি শান্তি, নীরব দর্শক কেন্দ্রীয় বাহিনী ! তোপ মণিপুরের বিজেপি বিধায়কের]
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যে অভিযুক্তদের বাড়ি বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার সেই মামলা ওঠে বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে। আদালতে কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। শুনানিতে বিচারপতি গাভাই প্রশ্ন তোলেন, “শুধুমাত্র অভিযুক্ত বলেই কী করে কারও বাড়ি ভাঙা হয়? দোষী হলেও তার বাড়ি ভাঙা যায় না।” এর পর রীতিমতো বিরক্তির সঙ্গে দুই বিচারপতি জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও এই বিষয়ে প্রশাসনের মনোভাবে বিন্দুমাত্র বদল আসেনি।