সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Bandyopadhyay) কার্যকালের মেয়াদ বাড়াতে পারে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজন এই আমলার মুখ্যসচিব পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা এমাসের শেষেই। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার তাঁর কার্যকালের মেয়াদ আরও খানিকটা বাড়াতে চায় বলেই সূত্রের খবর। এ বিষয়ে নাকি কেন্দ্রের কাছে আবেদনও জানানো হয়েছে।
মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যের একাধিক দপ্তরের সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বরাষ্ট্র সচিব এবং মুখ্যসচিব হিসেবে আমফান এবং করোনার ধাক্কা সামলেছেন। তাছাড়া, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) তার উপরে ভরসা করেন। এ হেন আমলার মেয়াদ শেষ হলে সদ্যগঠিত সরকারের কাজ করতে অসুবিধা হতে পারে। তাছাড়া মহামারী আবহে দীর্ঘদিন প্রশাসনের কাজ সামলেছেন তিনি। ভোটের মধ্যে পুরো দায়িত্ব তাঁর উপরই ন্যস্ত ছিল। স্বাভাবিকভাবেই তিনি নিজের পদে বহাল থাকলে নানা সিদ্ধান্ত ও সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলে মনে করছে শাসক দল। সম্ভবত সেকারণেই আলাপনের মেয়াদ মাস তিনেক বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মীরাই চড়তে পারবেন স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে, জানাল রেল]
কিন্তু মুখ্যসচিবের (Chief Secretory) মেয়াদ বাড়াতে প্রয়োজন হয় কেন্দ্রের অনুমতির। নবান্ন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। রাজ্যের যুক্তি কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে আলাপনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। তাছাড়া নতুন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যেও সমন্বয় সাধন করতে পারবেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমবার যখন ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসেন, তখন মুখ্য সচিব ছিলেন সমর ঘোষ। তাঁর মেয়াদও একইভাবে বাড়িয়েছিল নবান্ন। এখন কেন্দ্র যদি অনুমতি দেয়, তাহলে আগামী ৩ মাসের জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব থাকতে পারেন আলাপনই।
[আরও পড়ুন: চারতলার কার্নিশ বেয়ে পালানোর চেষ্টা করোনা রোগীর! হুলস্থুল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে]
প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ ব্যাচের এই আইএএস অফিসার এর আগে রাজ্যের পরিবহণ, এমএসএমই, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্ব সামলেছেন। গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে তিনি মুখ্যসচিবের পদে বসেন।