সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের প্রথমদিনই বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল এক পড়ুয়ার। রবিবার বিকেলে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসের বাইরেই ঘটে এই দুর্ঘটনা। যার পর ঘটনাস্থলে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে পড়েছিল ছাত্রের দেহ। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
অভিযোগ, এদিন বিকেলে ক্যাম্পাসের গেট থেকে বেরতেই একটি বেপরোয়া গাড়ি ধাক্কা মারে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Alia University) ভূগোলের স্নাতক স্তরের পড়ুয়া শাকিল আহমেদকে। তাঁকে ধাক্কা মেরেই সেখান থেকে চম্পট দেয় ঘাতক গাড়িটি। এরপর প্রায় মিনিট ১৫ পর শাকিলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গোটা ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। অবিলম্বে অভিযুক্ত চালককে গ্রেপ্তারির দাবিতে রাস্তা আটকে নিউটাউনের তেমাথার মোড়ে বিক্ষোভে বসেছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের জন্য ২০জনের নাম বাছাই ভারতীয় বোর্ডের, IPL নিয়েও সতর্কবার্তা ক্রিকেটারদের]
ইতিমধ্যেই টেকনোসিটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের ভূমিকায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ছাত্ররা। তাঁদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর কেন সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল না? কোথায় ছিল পুলিশ? বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর দায়ে বছরের প্রথম দিন এক মায়ের কোল খালি হয়ে গেল, এর দায় কে নেবে? এসব প্রশ্ন তুলেই বিক্ষোভে শামিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সন্ধে ৭টা নাগাদ তাঁরা দাবি করেন, আগামী দেড় ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত চালককে গ্রেপ্তার করতে হবে। নাহলে বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
এদিকে, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। পড়ুয়াদের শান্ত করতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযুক্তকে নিজেদের জালে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, পয়লা জানুয়ারি একাধিক পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী তিলোত্তমা। হেস্টিংস থানা এলাকায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বাইক চালকের। আবার সায়েন্স সিটির কাছে নাকা চেকিংয়ের সময় ট্রাফিক কনস্টেবলকে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। পলাতক গাড়িচালক। এবার ছাত্রের মৃত্যুদের উত্তাল নিউটাউন।