সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মহাশূন্য থেকে নীল রঙের এই গ্রহে ফিরে এসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও তাঁর সঙ্গী নভোচর বুচ উইলমোর। কিন্তু তাঁদের উদ্ধারে ক্রু-১০ মহাকাশযানে চেপে যাঁরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন তাঁরা নাকি দেখেছিলেন সেখানে রয়েছে একটি 'এলিয়েন'! ব্যাপারটা কী? সেকথা খোলসা করেছেন তাঁরাও।

চার নভোচর অ্যান ম্যাক্লেন, নিকোল আয়ার্স, তাকুয়া ওনিশি এবং কিরিল পেসকভ ছিলেন এলন মাস্কের ফ্যালকন ৯ রকেটে। ওই রকেটে ভর দিয়েই তাঁদের মহাকাশযান পৌঁছয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। তাঁদের সমস্ত কাজ বুঝিয়ে ওই মহাকাশযানে চেপেই 'বাড়ি' ফিরেছেন সুনীতারা। তার আগে সুনীতাদের সঙ্গে দেখা হওয়ার আনন্দে সমস্ত নভোচরদেরই উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু তার আগে ওই চার নভোচরের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে ভিনগ্রহী এক প্রাণীর। তিনকোনা মাথা, বড় বড় কালো চোখের গড়ন একেবারেই চিরচেনা এলিয়েনের সঙ্গে মানানসই। কিন্তু এখানে এলিয়েন এল কোথা থেকে? আসলে এর মধ্যে রয়েছে চমক। পৃথিবী থেকে আসা নভোচরদের স্বাগত জানাতে এলিয়েন স্যুট পরে অপেক্ষায় ছিলেন সুনীতাদের সঙ্গী আরও এক নভোচর নিক হগ। তাঁকে ওই পোশাকে দেখে হাসিতে ফেটে পড়েন পেসকভরা। বলে রাখা ভালো, নিক হগ এবং রুশ নভশ্চর আলেকজান্ডার গর্বুনভও ফিরেছেন সুনীতাদের সঙ্গে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩৫ নাগাদ শুরু হয় সুনীতাদের ফেরার যাত্রা। এরপর বুধবার আটলান্টিক মহাসাগরে নিরাপদে অবতরণ করানো হয় তাঁদের। গোটা ঘটনার লাইভ সম্প্রচার করে নাসা। সমুদ্রে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হয় মার্কিন নৌসেনার বোট। সেখান থেকে হাইড্রোলিক পদ্ধতিতে জাহাজে তোলা হয় সুনীতাদের। এরপর ড্রাগন ক্যাপসুল থেকে ৮টে ২২ নাগাদ হাসিমুখে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন সুনীতা উইলিয়ামস। আপাতত তাঁদের ঠিকানা হিউস্টন জনসন স্পেস সেন্টার।