অর্ণব আইচ: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ফের আদালতে ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই (CBI)। শুক্রবার বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় এই মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh), নীলাদ্রি ঘোষ, তাপস মণ্ডল, কৌশিক মাঝি এবং পার্থ সেনকে। শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত বিচারক রানা দামের মন্তব্য, ”এই মামলার আদি আছে, অন্ত নেই।” অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী আদালতে আবেদনে জানান, চার্জশিট (Chargesheet) হওয়ার পরেও এই মামলার তদন্তই হয়ে চলেছে। তাহলে মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে কবে? সিবিআই আইনজীবী সওয়াল করেন, তিনদিন আগেই জামিনের আবেদনের শুনানি হয়েছে, তাহলে একই আবেদন করা হচ্ছে কেন? প্রশ্ন তোলেন সিবিআই আইনজীবী। এসব শুনেই বিচারক বলেন, এই মামলার আদি আছে, অন্ত নেই।
পালটা সিবিআইকে বিচারক রানা দাম প্রশ্ন করেন, বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে দেরি হচ্ছে কেন? অভিযুক্ত পার্থ সেনের আইনজীবী আদালতে জানান, ”কোনও কপি সার্ভ করা হচ্ছে না। চার্জশিটে কী আছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি না।” সিবিআই আইনজীবী জানান, সব নথি দেওয়া হয়েছে। তা শুনে বিচারকের আরও প্রশ্ন, ”৪০টি নথি দেওয়া হয়েছে? কোন ভাষায় বোঝাব আপনাকে? চেষ্টা করুন কোর্টকে সাহায্য করতে। আদালতকে বিরক্ত করবেন না। আগামী দিনের মধ্যে আদালতে সব নথি জমা করতে হবে। আদালত ঠিক করবে কাকে কোন নথি সরবরাহ করা হবে।” মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ ডিসেম্বর।
[আরও পড়ুন: কথা শুনছে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ! কোপে সভাপতি, ৪ ঘণ্টা ডেডলাইন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
এদিন কুন্তলের জামিনের আবেদনের শুনানিতে বিচারক তাঁর উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, জামিন নিয়ে কি আপনি আশাবাদী? কুন্তলের উত্তর, ”বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা আছে। এক কথা বলে আসছি, আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।” পাশাপাশি এদিন, ধৃত তাপস মণ্ডল, কৌশিক মাজি এবং পার্থ সেন জামিনের আবেদন করেন আদালতে। আদালতের নির্দেশে আগামী ৫ ডিসেম্বর ধৃত তাঁদের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন মামলার পরবর্তী শুনানি। এছাড়া সমস্ত ডকুমেন্ট সিবিআইকে জমা দিতে হবে।