অর্ণব আইচ: নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের মামলাতেও আদালতের ক্ষোভের মুখে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি বিচারকের। আগামী ১৬ দিনের মধ্যে সিবিআইকে রিপোর্ট পেশের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত গত মার্চে। শহিদ মিনারে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সভামঞ্চ থেকে তিনি দাবি করেন, মদন মিত্র, কুণাল ঘোষেদের দিয়ে একসময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জোর করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর চেষ্টা করা হয়। তার ঠিক দিনদুয়েক পর আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের গলায় শোনা যায় একই সুর। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। আইনি পদক্ষেপ নেন। গত ১ এপ্রিল হেস্টিংস থানা এবং আলিপুর আদালতে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত আকারে জানান কুন্তল। তারই জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টেও।
[আরও পড়ুন: যাদবপুরে নিহত পড়ুয়ার পরিবারের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, সদ্য সন্তানহারা মাকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস]
ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কুন্তল ঘোষ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরার কথা বলেছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। এই মামলায় এজলাস বদল হয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। বেঞ্চ বদল হয়েও বিশেষ লাভ হয়নি। গত ৮ মে এই মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পার্টি করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। শীর্ষ আদালত মামলাটি ফের নিম্ন আদালতে পাঠায়।
একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে বলেই নির্দেশ দেয় আদালত। তবে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি বলেই দাবি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের জয়েন্ট কমিশনার। ওই মামলাতেই আদালতে তিরস্কৃত হয় সিবিআই। সিবিআইয়ের তরফে তদন্তের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। তবে আরজি খারিজ হয়ে যায়। পরিবর্তে ১৬ দিন ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়।